ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার আবেদন শুনল না সুপ্রিম কোর্ট। ২২ এপ্রিলের নৃশংস হামলায় বিচারবিভাগীয় তদন্ত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন কাশ্মীরের তিন ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার তাঁদের আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শীর্ষ আদালত সেই আবেদন শুনল না। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, এই মুহূর্তে বিচারবিভাগীয় তদন্ত হলে সেনার মনোবলে আঘাত লাগতে পারে। তাই এখন নিরাপত্তাবাহিনীর মনোবলে আঘাত করা উচিত নয়।
পহেলগাঁও হামলার পর এক সপ্তাহেরও বেশি সময় কেটে গিয়েছে। অথচ এখনও মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিচ্ছে ২৬ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করা জঙ্গিরা। এ পর্যন্ত কাশ্মীরে বেশ কয়েকটি অভিযান ও ধরপাকড় চালিয়েও হামলার মূল অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার বা নিকেশ করা যায়নি। এদিকে এই হামলার প্রত্যাঘাতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিয়েছে কেন্দ্র। কীভাবে হামলার প্রত্যাঘাত করা হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে সেনাকে।
অন্যদিকে, হামলার পাঁচদিন পর সরকারিভাবে পহেলগাঁও হামলার তদন্তভার হাতে নেয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ। তবে তবে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা আগেই ঘটনাস্থলে গিয়ে সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে এসেছেন। প্রাথমিকভাবে তদন্ত প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে এবং একাধিক তথ্য়ও উঠে এসেছে তদন্তের মাধ্যমে। বারবার সূত্র মিলেছে যে হামলাকারীদের সঙ্গে পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ যোগ ছিল।
এহেন পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন কাশ্মীরের ফতেহ কুমার সাহু, মহম্মদ জুনেইদ এবং ভিকি কুমার। তাঁদের দাবি, সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে পহেলগাঁও হামলার বিচারবিভাগীয় তদন্ত হোক। এছাড়াও কেন্দ্র, জম্মু-কাশ্মীর সরকার, সিআরপিএফ এবং এনআইএকে শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিক যেন তারা কাশ্মীরের আমজনতাকে সুরক্ষিত রাখতে যথাযথ পরিকল্পনা তৈরি রাখেন।
কিন্তু বৃহস্পতিবার এই মামলা শুনল না সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সূর্য কান্ত বলেন, “এখন খুব গুরুত্বপূর্ণ সময়। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়তে প্রত্যেক ভারতীয় একজোট হয়েছেন। তাই এই অবস্থায় নিরাপত্তাবাহিনীর মনোবল ভাঙা উচিত নয়।” আবেদনকারীদের তিরস্কারও করেছেন বিচারপতি। এই পরিস্থিতিতে এমন মামলা দায়ের করার আগে পরিস্থিতি বিচার করা উচিত ছিল তিন আবেদনকারীর, এমনটাই মত বিচারপতির। তিনি আরও বলেন, সুপ্রিম কোর্ট তো তদন্ত করতে পারে না। তাই শীর্ষ আদালতের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিরাও তদন্ত করতে পারবেন না। তাই আদালত কোনও নির্দেশ দিতে পারবে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.