সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেশ কয়েক বছর আগে ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত হয়েছিলেন। সেই ‘অপরাধে’ ওই ব্যক্তিকে সরকারি চাকরি থেকে বঞ্চিত করা যাবে না, নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। বিচারপতি এম আর শাহ (Judge M R Shah) এবং বিচারপতি সি টি রবিকুমারের (Judge CT Ravikumar) বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে।
বিষয়টি সামনে আসে প্রমোদ সিং কিরার নামে মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) এক ব্যক্তির আবেদনের প্রেক্ষিতে। পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে বাধা দেয় মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্টের (Madhya Pradesh High Court) এক নির্দেশ। কারণ, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ৪৯৮এ ধারায় মামলা রুজু হয়েছিল। মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যান প্রমোদ। সেই মামলার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ জানিয়ে দিল, ২০০১ সালে কেউ অভিযুক্ত হলে ২০১৩ সালে চাকরির ক্ষেত্রে তাকে বাধা দেওয়া যায় না।
শীর্ষ আদালত এদিন বলে, যখন কেউ ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত হয়, তখন তাদের গ্রেপ্তার করা হয় এবং তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। বিচারকের রায়ে আসামি দোষী সাব্যস্ত না হলে, ফৌজদারি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয় না। ফলে ওই ব্যক্তিকে কোনও ভাবেই সরকারি চাকরি থেকে বঞ্চিত করা যায় না।
গত কয়েক মাসে সুপ্রিম কোর্ট এমন কিছু রায় দিয়েছে যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ২০১২ সালে হরিয়ানার ছাওয়ালা ধর্ষণ কাণ্ডে (Chhawla Rape Case) কেঁপে উঠেছিল দেশ। এক দশক পরে আসামিদের বেকসুর খালাস করেছে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে মুক্তি দেওয়া হয়েছে দোষীদের। শুধুমাত্র সন্দেহের বশে তাঁদের মৃত্যদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। রায়দানের পরে নির্যাতিতার পরিবারের সদস্য ও বেশ কয়েকজন সমাজকর্মীকে বিক্ষোভ দেখান সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে। রায় পর্যালোচনার মামলা করবেন বলেও জানান নির্যাতিতার পরিবার। ইতিমধ্যে দিল্লি সরকার শীর্ষ আদালতের রায়ের পর্যালোচনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.