ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাতি তাড়াতে আদালত অবমাননা রাজ্যের! নির্দেশ অমান্য করে এখনও হাতি তাড়াতে ব্যবহার করা হচ্ছে জ্বলন্ত মশাল ও গজাল। এমনই অভিযোগে রাজ্যসরকারকে নোটিশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের অভিযোগ, ২০১৮ সালের ১ আগস্ট ও ৪ ডিসেম্বর হাতি ও মানুষের দ্বন্দ্ব নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে তা কার্যকর করতে ব্যর্থ হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। যার জেরেই রাজ্যের কাছে জবাব তলব করেছে বিচারপতি বি আর গভই ও বিচারপতি কে ভি বিশ্বনাথনের ডিভিশন বেঞ্চ।
গত ১৫ আগস্ট ঝাড়গ্রামে হাতি তাড়ানোর জন্য লোহার রড, গজাল ও জ্বলন্ত মশাল ছোড়ার অভিযোগ ওঠে হুলা পার্টির বিরুদ্ধে। যার জেরে মৃত্যু হয় এক হস্তিনী ও তার গর্ভস্ত সন্তানের। হাতি তাড়াতে এই ধরনের অস্ত্র যাতে না ব্যবহার করা হয় তার জন্য ২০১৮ সালে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এ বিষয়ে আদালতে মুচলেকা দিতে হয়েছিল কর্নাটক, পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড এবং ওড়িশা রাজ্যকে। রাজ্যগুলির তরফে জানানো হয়, ধাতব অস্ত্র তো বটেই এমনকি জরুরি পরিস্থিতি ছাড়া জ্বলন্ত মশাল ব্যবহার করবে না রাজ্য। অভিযোগ বাকি রাজ্যগুলি এই নির্দেশ মানলেও পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই বিষয়ে কোনও সদর্থক উদ্যোগ নেয়নি। যার জেরেই রাজ্যের প্রিন্সিপাল কনজারভেটার অফ ফরেস্টস-এর জবাব তলব করেছে শীর্ষ আদালত।
প্রেমা সিং বিন্দ্রা মামলায় ছয় বছর আগে আদালত নির্দেশ দিলেও হাতি তাড়াতে এখনও কোনও বিজ্ঞানভিত্তিক পরিকল্পনা রাজ্য তৈরি করেনি রাজ্য। বরং বনদপ্তরের আধিকারিকদের উপস্থিতিতেই হাতিদের উপর ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনা ঘটেছে সাম্প্রতিক সময়ে। অভিযোগ উঠেছে, আদালতের নির্দেশ মতো হাতি তাড়াতে নিযুক্ত হুলা পার্টির উপযুক্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়নি। গ্রামের সীমানায় লাগানো হয়নি সোলার লাইট। এলইডি বা সোলার টর্চ দেওয়া হয়নি গ্রামবাসীদের।
নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল লঙ্কার গুঁড়োর ধোঁয়া বা ড্রাম বাজিয়ে হাতি তাড়ানোর। সেটাও পালন করেনি রাজ্যের বনদপ্তর। এর পাশাপাশি হাতি চলাচলের আগাম খবর আদান-প্রদানের ব্যবস্থা ও গ্রামবাসীদের শস্যের ক্ষতি হলে ক্ষতিপুরণের ব্যবস্থা না করারও অভিযোগ উঠেছে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.