সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কন্যাকে হুমকি মামলায় পালটা হলফনামা দিতে দেরি কেন? সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) এই সংক্রান্ত মামলায় ভর্ৎসনার মুখে পড়লেন অভিযুক্ত আইনজীবীরা। সোমবার এই মামলার শুনানিতে আইনজীবীরা পালটা হলফনামা দেওয়ার জন্য ৬ সপ্তাহ সময় চাইলেন। এত সময় কেন? প্রশ্ন তুলে শীর্ষ আদালত সাতদিন সময়সীমা বেঁধে দিল। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে এদিন রাজ্যের তরফে সাত আইপিএসের তালিকা জমা দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে ৫ জনই মহিলা। আগামী সোমবার অর্থাৎ ২৫ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
ঘটনার সূত্রপাত মাস খানেক আগে। আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে এক মিছিল থেকে অভিষেকের নাবালিকা কন্যার প্রতি কুরুচিকর মন্তব্যের অভিযোগ ওঠে ডায়মন্ড হারবারের রেবেকা খাতুন মোল্লা ওরফে রেবেকা মোল্লা ও রমা দাস ওরফে রুমা দাস নামক দুই মহিলার বিরুদ্ধে। গত সেপ্টেম্বরে তাঁদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারিতে পুলিশি অতিসক্রিয়তা এবং হেফাজতে থাকাকালীন শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় দুই ধৃত। আদালতে বলা হয়, সুব্রত দাস ও ডলি ঝা নামক দুই পুলিশ কর্মী তাদের উপর নির্যাতন করেছেন। আচমকা এই অভিযোগের পর দুই সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে রাজ্য। প্রথমে সিঙ্গল ও পরে ডিভিশন বেঞ্চ এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। পরে এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে গেলে বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়ার বেঞ্চের তরফে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দেওয়ার পাশাপাশি ওই তদন্তকারী দলের উপরও স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়।
গত সোমবারের শুনানিতে বিচারপতিদের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, গোটা ঘটনার তদন্তের জন্য বাংলা ক্যাডারের সাত আইপিএস অফিসারের তালিকা দিতে বলা হয়েছে। সেই অফিসারদের বাসস্থান বাংলার বাইরে হতে হবে এবং এঁদের মধ্যে অন্তত পাঁচজনকে হতে হবে মহিলা। আজকের শুনানিতে সেই নির্দেশ মেনে রাজ্য সাত আইপিএসের তালিকা জমা দিয়েছে শীর্ষ আদালতে, যাঁদের মধ্যে ৫ জন মহিলা এবং তাঁদের জন্ম বা বাসস্থান – কোনওটাই বাংলায় নয়। পরবর্তী শুনানি আগামী সোমবার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.