সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুকেশ আম্বানির (Mukesh Ambani) নিরাপত্তা প্রসঙ্গে এবার সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেল কেন্দ্র। ত্রিপুরা হাইকোর্টের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল, কী কারণে আম্বানিদের নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে? সেই সঙ্গে নিরাপত্তা সংক্রান্ত নথিপত্র পেশ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয় কেন্দ্র। কিন্তু শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, ত্রিপুরা হাই কোর্টের রায়েই স্থগিতাদেশ দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে কেন্দ্রের হয়ে সওয়ালকারী আইনজীবীকেও কড়া কথা শোনায় সুপ্রিম কোর্ট।
বিকাশ সাহা নামে এক ব্যক্তি ত্রিপুরা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। সেখানে বলা হয়, কী কারণে মুকেশ আম্বানি ও তাঁর পরিবারকে নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে? প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্রের সুপারিশেই কেন্দ্রীয় সরকার বিখ্যাত শিল্পপতির নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে। তবে নিরাপত্তা পেয়েছিলেন কেবল মুকেশ ও তাঁর স্ত্রী নীতা আম্বানি। জনস্বার্থ মামলার ভিত্তিতে দু’টি অন্তর্বর্তী অর্ডার পাশ করে ত্রিপুরা হাই কোর্ট। সেখানেই নির্দেশ দেওয়া হয়, কোন কারণে নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে সেই সংক্রান্ত সমস্ত নথি আদালতের কাছে পেশ করতে হবে। ত্রিপুরা হাই কোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যায় কেন্দ্র।
সেই মামলা গ্রহণ করে শুনানির নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। কেন্দ্রীয় সরকারের হয়ে সওয়াল করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি বলেন, গোয়েন্দাদের রিপোর্টের ভিত্তিতেই আম্বানিদের নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া তাঁরা মুম্বইয়ের বাসিন্দা এবং সেখানেই তাঁদের নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে ত্রিপুরা হাই কোর্টের হস্তক্ষেপ করার কোনও এক্তিয়ার নেই। প্রসঙ্গত, ত্রিপুরা হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার।
কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল আবেদন করেন, পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত ত্রিপুরা হাই কোর্টেও জনস্বার্থ মামলা সংক্রান্ত কাজ বন্ধ থাকুক। কারণ মুম্বইয়ের কোনও মানুষের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে কিছু করার নেই ত্রিপুরা আদালতের। আর যদি ত্রিপুরার হাই কোর্টে এই মামলার কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়, তাহলে ফের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে। সেই সময়েই শীর্ষ আদালতের তিরস্কারের মুখে পড়েন সলিসিটর জেনারেল। দুই সদস্যের বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, “আমরা তো হাই কোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দিয়ে দিয়েছি। তারপরেও আপনার মনে হয় যে শীর্ষ আদালতের কাছে আসতে হবে? যদি প্রয়োজন পড়ে তাহলে তো সুপ্রিম কোর্ট আছেই।” প্রসঙ্গত, গত বছর মুকেশ আম্বানির বাড়ির সামনে বিস্ফোরক ভরতি গাড়ি পাওয়ার পরেই নিরাপত্তা দেওয়া হয় আম্বানিদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.