ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত মাসে শীর্ষ আদালতের রায়ে রাতারাতি চাকরিহারা হতে হয়েছিল রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মীকে। বেনিয়ম, প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির কথা বলে ২০১৬ সালের গোটা শিক্ষক নিয়োগের প্যানেলই বাতিল করা হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে ‘যোগ্য-অযোগ্য’র তালিকা আলাদা কেন করা গেল না, তা নিয়ে। সেই কাজ ঠিকমতো করা গেলে চাকরি থেকে বাদ পড়তে হতো শুধুমাত্র ‘অযোগ্য’দেরই। ‘যোগ্যতা’ প্রমাণ করা সত্ত্বেও অনেককে এই অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়তে হতো না। এবার সেই সমস্যার সুরাহা করতে সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ পিটিশন অর্থাৎ রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন জানাল রাজ্য সরকার ও স্কুল সার্ভিস কমিশন। আগামী সপ্তাহে এনিয়ে শুনানির সম্ভাবনা প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চে।
সূত্রের খবর, আগামী ৮ মে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে এই হাইপ্রোফাইল মামলার শুনানি হওয়ার কথা। রাজ্য ও এসএসসি-র আবেদন, ‘যোগ্য-অযোগ্য’ তালিকা ভালোভাবে যাচাই করে নতুন রায় দেওয়া হোক অথবা আগের রায় আংশিক বদল করা হোক। সেই আবেদনে কতটা সাড়া দেয় শীর্ষ আদালত, সেটাই দেখার। ফলে আপাতত ৮ মে শুনানির দিকে তাকিয়ে চাকরিহারা শিক্ষকরা। মনে একটাই প্রশ্ন, রায় কি বদলাবে? হারানো চাকরি কি আবার ফিরে পাবেন ‘যোগ্য’রা?
গত ৮ এপ্রিল রাজ্যে ২০১৬ সালের শিক্ষক নিয়োগ মামলায় চূড়ান্ত রায়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, নিয়োগ সঠিক পদ্ধতিতে হয়নি। প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি হয়েছে। তাই এই নিয়োগ সম্পূর্ণ বেআইনি। ২৫,৭৫২ জনের চাকরি বাতিল করা হল। এই তালিকায় রয়েছেন বহু অশিক্ষক কর্মীও। রাতারাতি চাকরি হারিয়ে সুবিচারের দাবিতে তাঁরা এসএসসি অফিস আচার্য ভবন, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং শিক্ষাদপ্তরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছিলেন চাকরিহারা প্রার্থীদের একটা বড় অংশ। দফায় দফায় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, এসএসসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক, ‘যোগ্য-অযোগ্য’ তালিকা প্রকাশ-সহ একাধিক দাবিতে সরব হন তাঁরা। শিক্ষামন্ত্রী তাঁদের উদ্দেশে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছিলেন, ”এমন কিছু করবেন না যাতে রিভিউ পিটিশন করতে অসুবিধা হয়।” জেলা শিক্ষা দপ্তরে পৌঁছয় যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা। মুখ্যমন্ত্রী, প্রশাসনের আশ্বাসে শেষমেশ তা উঠে যায়। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশমতো স্কুলেও যাচ্ছেন তাঁদের অনেকে। এবার রিভিউ পিটিশন দায়ের হওয়ায় মনে ফের আশা জাগছে তাঁদের, হারানো চাকরি ফিরতেও পারে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.