যাঁদের ভারতে ফেরত পাঠানো হবে তাঁরা কি আদৌ ভারতীয় নাগরিক? এই প্রশ্ন উঠছেই। আর সেই প্রসঙ্গেই সুষমা বলেন, ‘ওই ২৭১ জনের সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য হাতে না পেলে আমরা বিশ্বাস করতে পারব না যে তাঁরা ভারতীয় নাগরিকই। আমরা মার্কিন প্রসাশনের কাছে ওদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছি। তাঁরা যে ভারতীয় সেই সংক্রান্ত নথি পেয়ে গেলেই আমরা তাঁদের ভারতে ফেরার জন্য বিশেষ শংসাপত্র তৈরি করে ফেলব।’ যদিও ট্রাম্প প্রশাসন এই বিষয়টি নিয়ে এখনও মুখ খোলেনি।
শুধু ট্রাম্পের অভিবাসন নীতি নয়, গত ফেব্রুয়ারি মাসে কানসাসে এক ভারতীয়কে গুলি করে হত্যা করা হয়। এছাড়া গত কয়েকমাসে ভারতীয়দের ওপর আরও বেশ কয়েকটি জাতিবিদ্বেষমূলক কারণে হামলার ঘটনা ঘটে। তারপর থেকেই নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন আমেরিকায় বসবাসকারী ভারতীয়রা। ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, যেখানে ২০০৯ সালে প্রায় দেড় লক্ষ ভারতীয় নিয়মবহির্ভূত ভাবে আমেরিকায় বসবাস করত, সেখানে ২০১৪ সালে সংখ্যাটা পৌঁছায় পাঁচ লক্ষে। এর মধ্যে অনেকেই আছেন যাঁরা ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও সেদেশে থেকে গিয়েছেন। শুধু ভারতীয়রা নন, অন্যান্য দেশের নাগরিকরাও একইভাবে সেখানে রয়ে গিয়েছেন। আর নির্বাচনী প্রচারেই ট্রাম্প ঘোষণা করেছিলেন ক্ষমতায় এলে নতুন অভিবাসন নীতি নিয়ে আসবেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.