সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা এবং মধ্যপ্রদেশ। জাতীয় রাজনীতির দুই বহুল চর্চিত ইস্যুকে দূরে সরিয়ে রেখে ফের অর্থনীতিকে হাতিয়ার করে মোদি সরকারকে আক্রমণ শানালেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির অভিযোগ, মোদি সরকারের নীতিপঙ্গুত্বের জন্য দেশের ব্যাংকিং সিস্টেম ভেঙে পড়েছে। ইয়েস ব্যাংকের(Yes Bank) মতো আরও অনেক ব্যাংকই বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস সরকারের উপর যেদিন সংকট নেমে এল, সেদিন থেকেই অর্থনীতি ইস্যুতে হাতিয়ার করে মোদির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন রাহুল(Rahul Gandhi)। প্রথমে তাঁর অভিযোগ ছিল, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম যখন তলানিতে, তখন সেই সুবিধা মোদি সরকার সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা না করে একটি নির্বাচিত সরকার ফেলতে ব্যস্ত। সোমবার যখন মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় আস্থাভোট হওয়ার কথা ছিল, তখনও সংসদে তীক্ষ্ণ ভাষায় মোদি(Narendra Modi) সরকারকে আক্রমণ শানালেন কংগ্রেস নেতা। এবারেও তাঁর হাতিয়ার সেই অর্থনীতি।
রাহুল গান্ধীর অভিযোগ, “ভারতের অর্থনীতি কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। ব্যাংকিং সিস্টেমও কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন। ব্যাংকিং পদ্ধতি পতনের মুখে। আরও অনেকগুলি ব্যাংক বন্ধ হতে পারে। আর এর আসল কারণ হল, বহু মানুষ ব্যাংক থেকে টাকা চুরি করছে।” রাহুলের দাবি, তিনি সরকারের কাছে মাত্র ৫০ জন ইচ্ছুক ঋণখেলাপীর তালিকা চেয়েছিলেন। কারা দেশের টাকা সবচেয়ে বেশি চুরি করেছেন, তা জানতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, সরকার তাঁর প্রশ্নের উত্তর দেয়নি। কংগ্রেস সাংসদ বলেন, “আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেন যাঁরা যাঁরা দেশের টাকা নিয়ে পালিয়েছে, তিনি তাঁদের সবাইকে শাস্তি দেবেন। অথচ, আমি আমার এই সহজ প্রশ্নের উত্তরটা পেলাম না।” রাহুলের এই চ্যালেঞ্জের জবাবে তাঁকে নির্বোধ বলে কটাক্ষ করেছেন অর্থমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। তিনি পালটা দিয়ে বলেন, “যাঁদের কথা বলা হয়েছে তাঁরা সবাই কংগ্রেস আমলে টাকা নিয়ে পালিয়েছে। একজন বর্ষীয়ান সাংসদের এই প্রশ্ন তাঁর নির্বুদ্ধিতার পরিচয় দেয়। তাছাড়া ইচ্ছুক ঋণখেলাপীদের একটি তালিকা তো ওয়েবসাইটেই আছে। এতে লুকনোর কিছু নেই।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.