সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা (COVID-19) পজিটিভ হওয়ায় হাসপাতালের আইসোলেশনে (Isolation) আত্মঘাতী তবলিঘি জামাতের এক সদস্য। মহারাষ্ট্রের আকোলার একটি আইসোলেশন সেন্টারে ছিলেন তবলিঘি জামাতের এই যুবক। শুক্রবার রাতেই তিনি জানতে পারেন যে তাঁর শরীরে করোনার নমুনা পাওয়া গেছে। এরপরই শনিবার সকালে আইসোলেশন ওয়ার্ডের বাথরুমে গিয়ে ব্লেড দিয়ে গলা কেটে আত্মঘাতী হন তিনি। তবে আইসোলেশন ওয়ার্ডে বারবার এই ধরণের ঘটনার জেরে প্রশ্নের মুখে পড়েছে হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
সূত্রের খবর, মৃত যুবক অসমের বাসিন্দা। তিনি ৬ মার্চ থেকে ৮ মার্চের মধ্যে দিল্লির নিজামুদ্দিনের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। এরপর তিনি তাঁর বাকি জামাত সদস্যদের সঙ্গে মহারাষ্ট্রের আকোলায় যান। সেখানে থাকার পর তাঁর শরীরেও করোনার লক্ষ্মণ প্রকাশ পেতে শুরু করলে তিনি নিজে থেকেই আকোলার হাসপাতালের আইসোলেশনে যাবার সিদ্ধান্ত নেন। সেখানেই কয়েকদিন থাকবেন বলেও স্থির করেন। হাসপাতালের আইসোলেশনে থাকাকালীন তিনি চিকিৎসকদের কথা মেনেও চলতেই বলেই হাসপাতাল সূত্রে খবর। তবে করোনা পজিটিভ হওয়ার পর তিনি হঠাৎ আত্মঘাতী কেন হলেন তা নিয়ে ধন্ধে পড়েছে পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কারণ, জামাত যুবক নিজে থেকেই হাসপাতালের আইসোলেশনে এসেছিলেন। তবে এই ঘটনায় ফের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আইসোলেশনে থাকা ব্যক্তি কীভাবে ব্লেড পেলেন তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে আইসোলেশনের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশের তরফ থেকে অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এর আগেও আইসোলেশন থেকে পালানোর চেষ্টা করেছেন অনেকে। কেউ বা আইসোলেশনের জানলা ভেঙে পালাতে গিয়ে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। তবে বারবার এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ায় আইসোলেশন ওয়ার্ডের সুরক্ষা ব্যবস্থা ও নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.