সুব্রত বিশ্বাস: লম্বা সফরে ছুটন্ত ট্রেনে চা খান তো নিশ্চয়ই? কামরায় ওঠা হকারদের থেকে কিনেই খান? তাহলে এবার থেকে সাবধান হয়ে যান। আপনার চুমুক দেওয়া চায়ের জলটি আদৌ কতটা স্বাস্থ্যকর, খতিয়ে দেখে নেওয়ার সময় এসে গিয়েছে। শৌচালয়ের জল দিয়ে চা তৈরি করে তা যাত্রীদের কাছে বিক্রি করার অভিযোগ কিন্তু আকছারই ওঠে। কিন্তু নিজের চোখে না দেখলে, এই অভিযোগকে গুরুত্ব দেন না অনেকেই। এবার সামনে এল ট্রেনে চা তৈরির পদ্ধতি। ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, শৌচালয়ের জল নিয়ে চা বানাচ্ছেন জনৈক চাওয়ালা।
পুলওয়ামা হামলা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো খবরের ছড়াছড়ি! সতর্ক থাকুন
আইআরসিটিসির এক শ্রেণির কর্মীদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আগেও উঠেছিল। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যন্ত্রণা বাড়িয়ে দিল রেলের। এবার এই অভিযোগ একেবারে ভিডিও ক্লিপিং-সহ রেল বোর্ড কর্তাদের হাতে তুলে দিলেন যাত্রীরা। যা বোর্ডের কাছে বেশ অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেখা গিয়েছে, এই ক্লিপিংয়ের একেবারে সামনে রয়েছেন একজন রেল আধিকারিক। যাত্রীরা তাঁকে জলের নমুনা তুলে দিচ্ছেন। আধিকারিক এসিএম (টিসি) জি ডি মিনা নিজে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে যাত্রীদের অভিযোগের সঙ্গে নোংরা জলের বোতলও সংগ্রহ করলেন।
পশ্চিম রেলের দাদার-মাডরগাঁও জনশতাব্দী এক্সপ্রেসে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। ট্রেনটির শৌচালয় থেকে একেবারে হলুদ রংয়ের নোংরা জল বোতলবন্দি করছেন আইআরসিটিসির কর্মী। যাত্রীরা এই ঘটনার প্রতিবাদও করছেন। তবুও ভ্রূক্ষেপ নেই তাঁর। বরং আপন মনে হেসে চলেছেন তিনি। যেন মজা পাচ্ছেন। রেলের ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন বিভাগ স্পষ্ট করে জানিয়েছে, ট্রেনে পানীয় জলের কোনও লাইন নেই। সব কলের জলই পানের অযোগ্য। হাত-মুখ ধোয়া আর শৌচালয়ে ব্যবহার করা ছাড়া সেই জল পান করা যায় না। অতএব ওই জলে চা তৈরি করা মানে বিপজ্জনক। ইদানিং কয়েকটি ট্রেনে ওয়াটার পিউরিফাইং মেশিন লাগানো হয়েছে। আইআরসিটিসির পূর্বাঞ্চলের গ্রুপ জেনারেল ম্যানেজার দেবাশিস চন্দ্র বলেন, পূর্বাঞ্চলের ট্রেনে আইআরসিটিসির সুপারভাইজার পদমর্যাদার এক কর্মী থাকেন। ফলে এধরনের অনৈতিক কাজ করা সম্ভব নয়। পশ্চিম রেলে এই ঘটনা হলেও পূর্বাঞ্চলের রেল স্টেশন বা ট্রেনগুলিতে হওয়া সম্ভব নয় বলে তিনি দাবি করেছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.