সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্কুলে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (Citizenship Amendment Act ) বিরোধী নাটক পরিবেশন করেছিল পড়ুয়ারা। চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীদের পরিবেশন করা সেই নাটক রীতিমতো হুলুস্থুল ফেলে দিয়েছে শাসক শিবিরে। এতটাই যে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা এবং কয়েকজন অভিভাবকের বিরুদ্ধে দায়ের হয় এফআইআর। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কর্ণাটকের বিদার জেলার শাহিন এডুকেশন ইনস্টিটিউটের প্রধান শিক্ষিকা এবং এক পড়ুয়ার মাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরই নীলেশ রক্সওয়াল নামে এক সমাজকর্মী স্কুলের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সেই মামলার ভিত্তিতে স্কুলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় শিক্ষিকা এবং পড়ুয়াদের। কয়েকজন অভিভাবিকাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারপরই গ্রেপ্তার হন প্রধান শিক্ষিকা ফরিদা বেগম এবং এক ছাত্রীর মা নাজিবুন্নিসা মিনসা। আপাতত তাঁরা বিচার বিভাগীয় হেফাজতে আছেন। তাঁদের জামিন করানোর চেষ্টা চলছে। পুলিশ জানিয়েছে, দেশবিরোধী ওই নাটক প্রধান শিক্ষিকার সম্মতিতে পরিবেশিত হয়। তাই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদিকে, ওই অভিভাবিকাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, নিজের মেয়েকে অশালীন ভাষা শেখানোর অপরাধে।
গত ২১ জানুয়ারি কর্ণাটকের বিদার জেলার শাহিন এডুকেশন ইনস্টিটিউটের ছাত্রছাত্রীরা একটি নাটক মঞ্চস্থ করে। নাটকের বিষয় ছিল সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও নাগরিক পঞ্জি। নাটকের যে ভিডিওটি শেয়ার করা হয়েছে, সেখানে ছাত্রছাত্রীদের বলতে শোনা যাচ্ছে, “সরকার মুসলিমদের ভারত ছেড়ে চলে যেতে বলেছে। আমাদের বাবা-মা ও প্রপিতামহদের যাবতীয় তথ্য দেখাতে বলছে। যদি আমরা না পারি, ওদের নির্দেশ মতো আমাদের দেশ ছেড়ে তলে যেতে হবে।” ভিডিওর শেষে একটি কবিতাও আবৃত্তি করে তারা। বরুণ গ্রোভারের লেখা সেই কবিতাটি ছিল, ‘হাম কাগজ নেহি দিখায়েঙ্গে’। আর তাতেই ক্ষেপে যায় শাসক শিবির। দেশবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ তোলা হয় ওই স্কুলের বিরুদ্ধে।অনেকেই অবশ্য প্রশ্ন তুলছেন, স্কুলে খুদে পড়ুয়াদের পরিবেশন করা নাটকের জন্য এভাবে শিক্ষিকা এবং অভিভাবকদের গ্রেপ্তার করা কতটা যুক্তিযুক্তি? বুদ্ধিজীবীরা এই গ্রেপ্তারিকে অসহিষ্ণুতার সঙ্গে তুলনা করছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.