সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বছর দুয়েক আগে বুলন্দশহরে গণধর্ষণের শিকার হয়েছিল এক নাবালিকা। গুরুতর আহত হওয়ার পরও জীবনযুদ্ধে জিতেছিল সে। ট্রমা কাটিয়ে ফের স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছিল। মনকে শক্ত করে বুঝিয়েছিল, এ সমাজের সবটাই খারাপ নয়। ভাল দিকও আছে। আর কোনও দুঃস্বপ্ন তাকে ছুঁতে পারবে না। কিন্তু দু’বছর পরই ফের একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল। রবিবার রাতে যৌন হেনস্তার শিকার হতে হল ওই নাবালিকাকে।
ঘটনাস্থল সেই যোগী আদিত্যনাথের রাজ্য উত্তরপ্রদেশ। শনিবার টিউশন সেরে বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ স্কুটিতে গাজিয়াবাদে নিজের বাড়ি ফিরছিল ১৫ বছরের ওই কিশোরী। প্রথমে নিজের বান্ধবীকে তার বাড়িতে ছাড়ে সে। তারপর স্কুটিতে চেপে নিজের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয়। অভিযোগ, সেই সময়ই দুটি বাইকে চেপে তিন যুবক তাকে ধাওয়া করে। ঘিরে ধরলে স্কুটি থামাতে বাধ্য হয় দশম শ্রেণির ছাত্রীটি। কেড়ে নেওয়া হয় তার মোবাইল ফোন ও স্কুটির চাবি। পুলিশকে দেওয়া বয়ানে কিশোরীর বাবা জানিয়েছেন, ওই তিনজনের মধ্যে একজন তাঁর মেয়ের হাত ধরে টানাটানি শুরু করে। অন্যরাও তার সঙ্গে অশালীন আচরণ করতে থাকে। তার শরীরে আপত্তিকরভাবে স্পর্শ করে অভিযুক্তরা। এমন ঘটনা দেখে কয়েকজন পথচারী এগিয়ে আসেন। তাঁদের দেখেই সেখান থেকে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। কিন্তু খানিকক্ষণ পর আবার ফিরে আসে এবং কিশোরীকে তার বাড়ি পর্যন্ত ধাওয়া করে। গোটা ঘটনায় অত্যন্ত আতঙ্কিত ওই নাবালিকা। প্রশ্নের মুখে মহিলাদের নিরাপত্তা।
মেয়ের কাছ থেকে সমস্ত ঘটনা শোনার পর রবিবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তার বাবা। এখনও পর্যন্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসপি শ্লোক কুমার জানান, নাবালিকা দুজনের নাম জানিয়েছিল। রবি সাইনি এবং আশু ভাটি। নির্যাতিতার এলাকারই বাসিন্দা ওই দুজন। তাদের গ্রেপ্তার করা হযেছে। তবে তৃতীয় ব্যক্তিকে এখনও চিনতে পারেনি কিশোরী। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের জুলাইয়ে গাড়িতে পরিবারের সঙ্গে ঘুরতে গিয়েছিল নাবালিকা। অভিযোগ, দোস্তপুর গ্রামের কাছে সেই সময়ই গাড়ি থামিয়ে তাকে ও তার মাকে গণধর্ষণ করে দুষ্কৃতীরা। ছিনতাই করা হয় গয়নাও। সেই ঘটনা গোটা দেশে সাড়া ফেলে দিয়েছিল। সিবিআইয়ের চার্জশিটে থাকা তিনজনকে গ্রেপ্তারও করেছিল পুলিশ। এখনও আদালতে চলছে সেই মামলা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.