সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নতুন কোনও চাকরি পেয়েছেন কিংবা কোথাও বেড়াতে গিয়েছেন আবার কোনও আত্মীয়র মৃত্যু – জীবনের প্রতি ধাপে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপডেট দিতে ভোলেন না অনেকেই। কারও কারও জীবনের প্রতিটি মুহূর্তেই যেন জুড়ে গিয়েছে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার। এই পরিস্থিতিতে স্রেফ ফেসবুকে পাঠানো ফ্রেন্ড রিকোয়েস্টে সাড়া না দেওয়ায় প্রাণ হারাতে হল কিশোরীকে। খুনের পর নিজেকে শেষ করে চেষ্টা করে নাবালক। উত্তরপ্রদেশের মথুরার ঘটনায় অবাক প্রায় সকলেই।
নিহত কিশোরী উত্তরপ্রদেশের মথুরার নাগলা বোহরা গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবা ফরিদাবাদে একটি কারখানায় নিরাপত্তারক্ষী হিসাবে কর্মরত। মা গৃহবধূ। মা, বাবার একমাত্র সন্তান ওই কিশোরী। তার বাবার দাবি, রবিবার সন্ধেয় নাবালক বিয়ের আমন্ত্রণপত্র হাতে তাঁদের বাড়িতে আসে। কিশোরী দরজা খুলে দেয়। আমন্ত্রণপত্র হাতে দেওয়ার অছিলায় কিশোরী ছুরি দিয়ে কোপাতে থাকে সে। কিশোরী যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকে। চিৎকার করতে থাকে সে।
ঘর থেকে দৌড়ে আসেন কিশোরীর মা। মেয়েকে ওই নাবালকের কবল থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। তিনিও ছুরির ঘায়ে আহত হন। এরপর ওই নাবালক ছুরি দিয়ে নিজেকেও আঘাত করে। রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ির সামনেই পড়ে যায় কিশোরী, কিশোরীর মা এবং নাবালক। ততক্ষণে প্রতিবেশীরা জড়ো হয়ে যান। তাঁরাই খবর দেয় পুলিশকে। তড়িঘড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তিনজনকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে শেষরক্ষা হয়নি। প্রাণ হারায় কিশোরী। ওই কিশোরীর মা এবং নাবালক হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।
কিন্তু কেন আচমকা কিশোরীর উপর হামলা চালাল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। নিহত কিশোরীর বাবার দাবি, বেশ কয়েকদিন আগে ফেসবুকে কিশোরীকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠায় নাবালক। তবে তাতে সাড়া দেয়নি কিশোরী। সেই আক্রোশেই মেয়েকে খুন করেছে নাবালক। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। স্রেফ ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্টে সাড়া না পাওয়ায় যে কেউ এত বড় কাণ্ড ঘটাতে পারে, তা যেন বিশ্বাসই করতে পারছেন না কেউ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.