ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়েকদিন আগেই মৃত্যু হয়েছে উন্নাওয়ের গণধর্ষিতা যুবতীর। আদালতে সাক্ষী দিতে যাওয়ার সময়ে তাঁর শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল ধর্ষকরা। বিষয়টি নিয়ে এখনও জলঘোলা হচ্ছে। ইতিমধ্যে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে সাত পুলিশকর্মীকে বরখাস্ত করছে যোগী প্রশাসন। তারপরও অবস্থার যে কোনও পরিবর্তন হয়নি তার প্রমাণ মিলল। ধর্ষণের পর গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা হল এক কিশোরীকে। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ফতেপুর জেলার একটি গ্রামে। বর্তমানে ওই নির্যাতিতা কানপুরের লালা লাজপত রাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার অবস্থা খুব আশঙ্কাজনক বলে ডাক্তাররা জানিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উন্নাওয়ের খুব কাছে ফতেপুর জেলার একটি গ্রাম বাস করে ওই কিশোরী। শনিবার বাড়িতে কেউ ছিল না। সেসময় এক দূরসম্পর্কীয় আত্মীয় তাদের বাড়িতে এসে তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। তারপর ওই কিশোরীর আগে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। নিজেকে বাঁচানোর জন্য চেঁচামেচি শুরু করে নির্যাতিতা। তা শুনতে পেয়ে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। খবর দেওয়া হয় পুলিশকেও।
অচৈতন্য হওয়ার আগে কিশোরীটি অভিযোগ করে, ‘বাড়িতে একা ছিলাম। সেই সুযোগে দূর সম্পর্কের ওই আত্মীয় এসে আমাকে ধর্ষণ করে। তারপর আমার সারা শরীরে কেরোসিন তেল ছড়িয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।’ এই ঘটনার জেরে ওই কিশোরীটির শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে।
এপ্রসঙ্গে কানপুরের লালা লাজপত রাই হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ড, অনুরাগ রাজোরিয়া জানান, নির্যাতিতাকে বর্তমানে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে। ছোট একটি অস্ত্রোপচারের পর তাকে বার্ন ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হবে।
প্রয়াগরাজ জোনের এডিজি সুজিত পান্ডে জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে অভিযুক্তের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল ওই কিশোরীর। আজ সেই বিষয় নিয়ে পঞ্চায়েতের তত্ত্বাবধানে একটি মিটিংও ছিল। তারপরই এই ঘটনা ঘটে। কিশোরীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.