সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হায়দরাবাদ এনকাউন্টার নিয়ে বিতর্ক এখনও চলছে। বিচার বহির্ভূতভাবে অভিযুক্তদের এনকাউন্টার করাটা কতটা নৈতিকতার কাজ, এ প্রশ্নে রীতিমতো সোরগোল পড়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। একাধিক মানবাধিকার সংগঠন তো বটেই, তেলেঙ্গানা পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকদের অনেকেও এই এনকাউন্টারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। এক কথায়, এনকাউন্টারের পর বেশ চাপে হায়দরাবাদ পুলিশ। এবার পুলিশের পাশে এসে দাঁড়ালেন খোদ রাজ্যের মন্ত্রী। সাফ জানিয়ে দিলেন, অন্যায় করলেই এই ধরনের এনকাউন্টার হবে। এটা অন্যায় রুখতে সরকারের প্রতিশ্রুতি।
তেলেঙ্গানার চন্দ্রশেখর রাও ক্যাবিনেটের পশুপালন মন্ত্রী শ্রীনিবাস যাদব। স্থানীয় একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “এটা একটা শিক্ষা। যদি কেউ অন্যায় করে তাহলে বিচারব্যবস্থার জটিলতায় গিয়ে লাভ নেই। প্রথমে হেফাজত, তারপর জেল, তারপর আবার জামিন, এভাবে শুধু বিচারপ্রক্রিয়া দীর্ঘতর হবে। এই ধরনের কঠিন শাস্তি হবে না। এটার মাধ্যমে আমরা একটা বার্তা দিলাম। কেউ যদি কোনও অন্যায় বা নিষ্ঠুর কাজ করে থাকে, তাহলে তাঁকে এনকাউন্টারের মুখে পড়তে হবে।”
যারা যারা এই এনকাউন্টারের বিরোধিতা করছে, তাদেরও এদিন একহাত নেন তেলেঙ্গানার মন্ত্রী। সেই সঙ্গে জানিয়ে দেন, “এই এনকাউন্টারের মাধ্যমে একটি শক্তিশালী বার্তা গিয়েছে সমাজে। এটা আমাদের দেশের জন্য একটা আদর্শ হতে পারে। আমরা যে শুধু সামাজিক প্রকল্পের জন্য দেশের মধ্যে উদাহরণ হয়ে থাকব, তাই নয়। যেভাবে অপরাধমূলক কাজকর্ম দমন করা হচ্ছে, সেটাও উদাহরণ হয়ে থাকবে।”
উল্লেখ্য, হায়দরাবাদ এনকাউন্টার নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় জোর সোরগোল চলছে শুরু থেকেই। আম জনতার একটা বড় অংশ অভিযুক্তরা দ্রুত শাস্তি পেয়ে যাওয়ায় খুশি। আবার সমাজকর্মী তথা মানবাধিকার কর্মীদের একাংশ আবার এনকাউন্টারের বিরোধিতা করেছেন। ইতিমধ্যেই পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। পুলিশের তরফে, মানবাধিকার কমিশনে একটি রিপোর্টও পেশ করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.