সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আট শ্রমিকের মধ্যে চারজনের অবস্থান জানা গেল তেলেঙ্গানার মারণ সুড়ঙ্গে। নগরকুরনুল জেলার জেলাশাসক বি সন্তোষ জানালেন, রাডারের মাধ্যমে অবশেষে চার শ্রমিকের অবস্থান জানতে পেরেছি আমরা। দুর্ঘটনার ৮ দিন পর যা নিঃসন্দেহে আশার আলো। যদিও তাঁদের শারীরিক অবস্থা কেমন সে বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি মন্ত্রী কিংবা প্রশাসনের তরফে। তবে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে রবিবার সন্ধ্যার মধ্যে আটকে থাকা শ্রমিকদের উদ্ধার করা সম্ভব হবে।
আটকে থাকা ৮ জনকে উদ্ধার করতে অন্তত ৫০০ উদ্ধারকারীকে রাতদিন এক করে কাজ করছেন। বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে, র্যাডার ব্যবহার করে ভিতরের ছবি আমরা পেয়েছি। টানেলের ভিতরে চারজন আটকে রয়েছেন। অন্যদিকে, রাজ্যের মন্ত্রী জুপাল্লি কৃষ্ণা রাও বলেন, চারজন শ্রমিকের অবস্থান যখন জানা গিয়েছে তখন আমরা আসা করছি বাকি চারজন যন্ত্রের নীচে কোথাও আটকে রয়েছেন। তাঁদের কোনও সাড়াশব্দও পাওয়া যায়নি। ফলে তাঁরা ঠিক কী অবস্থায় রয়েছেন তা স্পষ্ট নয়। তবে আমরা আশা রাখছি তাঁরা জীবিত রয়েছেন। এবং খুব শীঘ্রই উদ্ধার করা হবে সকলকে।
গত শনিবার সকালে তেলেঙ্গানার নগরকুরনুল জেলার শ্রীসাইলাম ড্যামে অবস্থিত সুড়ঙ্গের মধ্যে লিকেজ সমস্যা সারাই করতে গিয়েছিলেন একদল শ্রমিক। সুড়ঙ্গের প্রায় ১৪ কিলোমিটার ভিতরে হঠাৎ ধস নামে ছাদে। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনার জেরে অন্তত সুড়ঙ্গের ১৪ কিমি ভিতরে ৮ জন আটকে পড়েন। দুর্ঘটনার পর স্থানীয় জেলাশাসক বি সন্তোষ বলেন, যাঁরা আটকে পড়েছেন তাঁদের সঙ্গে কোনওভাবেই যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। এমনকী ভিতরের এয়ার চেম্বার ও কোনভেয়ার বেল্ট পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। শ্রমিকদের সাড়া পেতে তাঁদের নাম ধরে ডাকা হচ্ছিল। তবে কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনার মধ্যে উদ্ধারকারীদের আশা, এখনও দুর্ঘটনাস্থলের ২০০ মিটারের মতো অংশ এখনও টিকে রয়েছে। সেখানে শ্রমিকরা থাকলেও থাকতে পারেন। তবে উদ্ধারকাজে মূল বাধা হয়ে দাঁড়ায় কাদা ও জল। গত ৭ দিনে সময় যত গড়াতে থাকে ততই ক্ষীণ হতে থাকে উদ্ধারের আশা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.