Advertisement
Advertisement
Telangana

ভিডিও কলে প্রসূতির অস্ত্রোপচার! প্রাণ গেল যমজ সন্তানের, ক্ষোভে ফুঁসছে পরিবার

বিয়ের সাত বছর পর অন্তঃসত্ত্বা হয়েছিলেন তরুণী।

Telangana Woman Loses Twins After Doctor's 'Video Call' Treatment

প্রতীকী ছবি।

Published by: Subhodeep Mullick
  • Posted:May 6, 2025 9:21 pm
  • Updated:May 6, 2025 9:21 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিয়ের সাত বছর পর অন্তঃসত্ত্বা হয়েছিলেন তরুণী। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, তাঁর গর্ভে রয়েছে যমজ সন্তান। তারপরই পরিবারে বয়ে গিয়েছিল আনন্দের স্রোত। কিন্তু সেই আনন্দই শেষে পরিণত হল বিষাদে। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে মৃত্যু হল তাঁর সন্তানের।

তরুণীর নাম বাট্টি কীর্তি। তিনি তেলেঙ্গানার রঙ্গরেড্ডি জেলার বাসিন্দা। আইভিএফ পদ্ধতির মাধ্যমে কয়েকমাস আগে অন্তঃসত্ত্বা হন। এরপর থেকেই তিনি অনুশা রেড্ডি নামে এক চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে ছিলেন।

Advertisement

জানা গিয়েছে, গত রবিবার ভোর চারটে নাগাদ প্রসবযন্ত্রণা নিয়ে কীর্তি হাসপাতালে যান। কিন্তু তখন অনুশা সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। অভিযোগ, ভিডিও কলের মাধ্যমে তিনি নার্সদের বিভিন্ন নির্দেশ দেন। সেই মতো তাঁরা কীর্তিকে একাধিক ইঞ্জেকশন দেন। এরপরই নাকি কীর্তির রক্তপাত শুরু হয় বলে অভিযোগ। অবশেষে সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ চিকিৎসক হাসপাতালে পৌঁছন। জানা যায়, কীর্তির যমজ সন্তানের মৃত্যু হয়েছে।

ঘটনার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন কীর্তির পরিবার। হতাশ গলায় কীর্তি বলেন, “আমার পেটে অসম্ভব ব্যথা শুরু হয়েছিল। তাই তড়িঘড়ি আমি মধ্যে হাসপাতালে চলে আসি। কিন্তু চিকিৎসক সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। তিনি ফোনে নার্সদের পরামর্শ দিয়েছিলেন। তাঁর নির্দেশেই আমার চিকিৎসা শুরু হয়েছিল।” কীর্তির সংযোজন, “কিছুক্ষণ পর আমার রক্তপাত শুরু। নার্সরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। আমার জ্ঞান ছিল না। পরে চিকিৎসক আসেন। তখন আমি জানতে পারি আমার সন্তানের মৃত্যু হয়েছে।” 

চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ এনে কীর্তির পরিবার ইতিমধ্যেই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে। একটি অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, স্বাস্থ্য বিভাগের রিপোর্টের ভিত্তিতে যথাযথ পদক্ষেপ করা হবে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement