কেসিআর
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রমে দেশে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। তাই নিজের রাজ্য লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিল তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। ২৯ মে পর্যন্ত তেলেঙ্গানায় বর্ধিত করা হল লকডাউনের মেয়াদকাল।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও ৭ ঘণ্টার মন্ত্রিসভার বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে জানান, “জনগণ চায় লকডাউন বাড়ানো হোক। আমি প্রধানমন্ত্রীকে আমাদের সিদ্ধান্তের বিষয়ে অবহিত করেছি। দেশের নবতম এই রাজ্যে রেড জোনে ৬ জেলা, অরেঞ্জ জোনে ১৮ টি এবং গ্রিন জোনে ৯ টি জেলা রয়েছে। তিনটি জেলায় সংক্রমণের হার বেশি। জিএইচএমসি (GHMC), রঙ্গা রেড্ডি (Ranga Reddy) এবং মেডচাল (Medchal) জেলার অবস্থা ‘উদ্বেগজনক’।” চন্দ্রশেখর রাও আরও বলেন, “কেন্দ্র বলছে যে রেড জোনে দোকানও খুলতে পারে। তবে আমরা হায়দরাবাদ, মেডচাল, সূর্য্যপেট, ভিকারাবাদে কোনও দোকান খুলছি না।” তেলেঙ্গানাতে এখনও পর্যন্ত সংক্রমিতের সংক্রান্ত ১,০৯৬। ৪৩৯ জন চিকিৎসাধীন এবং ৬২৮ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। দেশব্যাপী লকডাউনকে কেন্দ্র দ্বিতীয় দফায় লকডাউনের মেয়াদকাল বাড়ানোর আগেই এই রাজ্য লকডাউন বাড়িয়েছিল ৭ মে পর্যন্ত। তৃতীয় পর্বের লকডাউন শুরু সঙ্গে সঙ্গেই রাজ্যের পরিস্থিতি বুঝে লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি করে দিলেন তেলেঙ্গানা মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, একটি অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদনে রাজ্যে ফের লকডাউন সম্প্রসারণের সুপারিশ করা হয়েছে। বিশেষত হায়দরাবাদের পার্শ্ববর্তী তিনটি জেলা- রঙ্গা রেড্ডি, মেডচাল এবং ভিকারাবাদের ক্ষেত্রে সরকার এই সিদ্ধান্তই নিয়েছে।
চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য বিভাগের দেওয়া সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোট ১,০৮৫ টি করোনা পজিটিভ ক্ষেত্রে ৭১৭ টিই (৬৬.০৮ শতাংশ) চারটি জেলার অন্তর্গত। নিহতদের মধ্যে ৮২.২১ শতাংশ এই চারটি জেলার অন্তর্গত। গত দশদিন ধরে কেবলমাত্র এই জেলাগুলিতেই সর্বাধিক সংখ্যক করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সুতরাং, এই চারটি জেলাতে কোনও ছাড় দেওয়া হবে না। লকডাউন যেমন আছে তেমন চালিয়ে যাওয়া হবে। মঙ্গলবারের বৈঠকের পর প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রয়োজনে এই চার জেলায় আরও কঠোরভাবে লকডাউন পালন করা হবে।
রাজ্যে ইতিমধ্যেই লকডাউন কিছুটা শিথিল করেছে তেলেঙ্গানা সরকার। কৃষি এবং শিল্পক্ষেত্রের কিছু অংশ, সার, বীজের দোকান এবং কৃষি সরঞ্জাম বিক্রির ক্ষেত্রগুলি খুলে দেওয়া হয়েছে। কে চন্দ্রশেখর রাও বলেন, “বিশ্বের কোনও দেশই আমাদের খাওয়াতে পারবে না… খাদ্য সুরক্ষায় আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণতা হারাতে পারি না। নির্মাণ কার্য এবং সিমেন্ট উৎপাদন ও বিক্রয় ইউনিটগুলিও খোলা থাকবে।” তবে আরও কী কী বিষয়ে লকডাউনের নিয়ম শিথিল করা যায় ১৫ মে সেই বিষয়ে পর্যালোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.