ফাইল ফোটো
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাশ্মীরের শিশুদের জঙ্গি বানানোর জন্য সমান্তরাল শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার চেষ্টা করছে পাকিস্তান। এর জন্য মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদীদের সবরকম সাহায্যও করছে ইমরানের সরকার। আর এর জন্য ভূস্বর্গে নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়া জামাত-ই-ইসলামি(কাশ্মীর)-এর বন্ধ হওয়া স্কুলগুলিকে কাজে লাগানোর ছক কষেছে। সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীরে কর্তব্যরত নিরাপত্তা সংস্থাগুলিকে এই বিষয়ে সাবধান করেছেন গোয়েন্দারা। আর তারপর থেকেই নজরদারি শুরু হয়েছে গোটা উপত্যকাজুড়ে।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর দেশবিরোধী শিক্ষা দেওয়ার অভিযোগে ভূস্বর্গের বিভিন্ন জায়গায় গড়ে ওঠা জামাতের স্কুলগুলিকে বন্ধ করে দেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এরপরই বিষয়টি নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে জামাত ও পিডিপির কর্মী-সমর্থকরা। কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিও অংশ নিয়েছিলেন ওই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে। কিন্তু, তাতে অবশ্য কোনও কাজ হয়নি। তাই তলায় তলায় পাকিস্তানের মদতে জঙ্গিরা ওই স্কুলগুলিতে ফের ভারতবিরোধী শিক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনা ফেঁদেছে। পাশাপাশি সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করারও ছক কষেছে। সম্প্রতি চাওয়ালগামে একটি সরকারি স্কুল পুড়িয়ে দেয় জঙ্গিরা। রাজ্যের বাকি সরকারি স্কুলগুলিকেও ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করছে।
তবে শুধু সরকারি স্কুল ভাঙচুর করে এই জঙ্গিদের উদ্দেশ্য পূরণ হবে না। তাই সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে মৌলবাদী শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাইছে তারা। কাশ্মীরের নিষ্পাপ শিশুদের মনে ভারত বিরোধী মনোভাবের বিষবাষ্প ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। যদিও সবসময় সজাগ রয়েছেন আমাদের জওয়ানরা। তাই বারবার পরিকল্পনা করেও ব্যর্থ হচ্ছে পাকিস্তান ও তাদের মদতপুষ্ট জঙ্গিরা।
আসলে গত কয়েকমাস ধরে ভারত বিরোধিতা করতে গিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে মুখ পুড়েছে পাকিস্তানের। বারবার জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেও চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। কয়েকদিন আগে ভারতের দুই সেনা জওয়ান শহিদ হওয়ার পর পাকিস্তানের প্রায় সাতটি জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করে ভারত। এর জেরে ছয়-সাত জন পাকিস্তানি সেনা ও ৩৫ জন জঙ্গি খতম হয় বলেও জানা গিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.