সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাওয়া না পাওয়ার মাঝে কতই না আক্ষেপ থেকে যায় মানুষের। কিন্তু যাঁদের জীবনে লড়াইটা আরও কঠিন, তাঁদের এই আক্ষেপের বিলাসিতার সময় নেই। কারণ তাঁদের কাছে লড়াইটাই আসল। তাই ঝুলিতে জাতীয় পুরষ্কার থাকলেও নতুন করে চাকরি খোঁজার লড়াইয়ে নেমেছেন রূপমানি ছেত্রী।
জন্ম নেপালে হলেও রূপমানির জন্মের পর পাকাপাকিভাবে ভারতে চলে আসে তাঁর পরিবার। মেয়ের ছ’মাসের মাথায় তাঁরা জানতে পারেন, শোনার ক্ষমতা নেই রূপমানির। এরপর থেকেই অবহেলার পাত্রী হয়ে যায় ছোট্ট মেয়েটি। তবে কোনওদিন দমে যাননি রূপমানি। পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছেন সাধারণ স্কুলেই। এমনও সময় গিয়েছে যখন পয়সার অভাবে দিনমজুরের কাজ করেও পড়াশোনা চালিয়েছেন রূপমানি।
বেশ কিছু বছরের কষ্টের পর দিল্লির এক বধির যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। তাঁকে ভালবেসেই ঘর ছেড়ে দিল্লি এসে পৌঁছন রূপমানি। দু’জনে বিয়েও করেন। কিন্তু, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বুঝতে পারেন। স্বামীও চান না তিনি কাজ করুন। মন শক্ত করে সেই সম্পর্ক থেকেও বেরিয়ে আসে রূপমানি। ফের শুরু হয় তাঁর নতুন লড়াই। হেলথ কেয়ার অ্যাসিস্ট্যান্টের কাজও জুটে যায়। মালভিয়া নগরে একটি সিঙ্গল বেডরুমের ফ্ল্যাটও পেয়ে যান তিনি। এমন সময়ই আসে সুখবরটা। সেকেন্ড এফডিআর ন্যাশনাল ডিজেবিলিটি এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ড পান রূপমানি।
জাতীয় স্বীকৃতি একটা মাইল ফলক বটে, তবে রূপমানির গন্তব্য এখনও অনেক দূরে। চাকরির ক্ষেত্রে আরও উন্নতি করতে চান তিনি। সমস্যা একটাই, ইংরাজিটা এখনও ভাল শিখে উঠতে পারেননি তিনি। সেই কারণেই বিভিন্ন জায়গায় চাপা পড়ে যায় তাঁর দক্ষতা, কাজের অভিজ্ঞতা। তবে হার মানতে নারাজ নয় বধির যুবতী। যে পথে বেরিয়ে পড়েছেন তাঁর শেষে পৌঁছবেনই, এই তাঁর পণ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.