সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিজেদের গায়ের স্বাভাবিক রং হারিয়ে ক্রমেই নীল হয়ে উঠছে সারমেয়রা। না, কেউ ইচ্ছে করে তাদের রঞ্জিত করছে, এমনটা নয়। কারখানার কেমিক্যাল ও দূষণের শিকার হচ্ছে এই নিরীহ প্রাণীরা।
এমন ঘটনাই এখন চোখে পড়ছে নবি মুম্বইয়ের তালজোলা কারখানার আশেপাশের এলাকায়। প্রশ্ন হল, কেন এমন ঘটনা ঘটছে? জানা যাচ্ছে, এর জন্য দায়ী কাসাড়ি নদী। কারখানা থেকে নির্গত তরল কেমিক্যাল প্রতিনিয়ত মিশছে সেই নদীর জলে। এদিকে, খাবারের সংগ্রহে মাঝেমধ্যেই নদীতে নেমে পড়ে সারমেয়। আর তাতেই ঘটছে বিপত্তি। বুধবার নবি মুম্বইয়ের পশু সংরক্ষণ সেল একটি ছবি পোস্ট করেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, এক সারমেয়র গায়ের লোম সম্পূর্ণ নীল হয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্র দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করে সংস্থা। অভিযোগ, কারখানা থেকে ডাই সোজা গিয়ে জলে মিশছে। আর সারমেয়রা না বুঝেই নদীর জলে নেমে পড়ছে। ফলে এই এলাকায় তারা সুরক্ষিত থাকতে পারছে না। নবি মুম্বইয়ের বাসিন্দা পশু সুরক্ষা সেলের কর্মী আরতি চৌহান বলেন, “চমকে যাওয়ার মতোই ঘটনা। সারমেয়র গায়ের সাদা রং সম্পূর্ণ পালটে নীল হয়ে যাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত এমন পাঁচটি সারমেয় আমাদের চোখে পড়েছে। শুধু সারমেয় নয়,
নদীর এই বিষাক্ত জল সাধারণ মানুষেরও ক্ষতি করতে পারে। তাই মহারাষ্ট্র দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কাছে কারখানাগুলির বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি আমরা।
গোটা এলাকায় প্রায় এক হাজার ফার্মাসিউটিক্যাল, খাবার ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কারখানা রয়েছে। ফলে নদী দ্রুত গতিতে বিষাক্ত হয়ে উঠছে। গত বছরই মৎস্যজীবীরা জানিয়েছিলেন, কারখানার কেমিক্যাল ও আবর্জনা নদীর জলের মাছ নষ্ট করে দিচ্ছে। মুম্বই পুরসভাও নদীর জল বিষাক্ত হয়ে ওঠার তথ্য তুলে ধরেছিল। জলে বায়োকেমিক্যাল অক্সিজেনের পরিমাণ বেড়ে গেলে তা মাছেদের ক্ষতি করে। এখানে সেই মাত্রা অনেকটাই বেশি। মহারাষ্ট্র দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তরফে বলা হয়েছে, নদীতে কেমিক্যাল ফেলা বেআইনি। তাই এলাকার পরিবেশ, মানুষ ও পশুদের সুস্থ রাখতে কারখানাগুলির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.