মৃত বাবা ও ছেলে (ফাইল ফটো)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তামিলনাড়ুর তুতিকোরিনে পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু হয়েছিল বাবা-ছেলের। পরিবার অভিযোগ করেছিল, পুলিশ কর্মীদের মারেই তাঁদের মৃত্যু হয়েছিল। শনিবার সেই ঘটনায় চার্জশিট দিল সিবিআই। সেখানে ন’জন পুলিশকর্মীর নাম রয়েছে।
গত ১৯ জুন লকডাউন চলার সময় নির্ধারিত সময়ের ১৫ মিনিট বেশি মোবাইলের দোকান খোলা রাখায় মালিক জয়রাজ ও তাঁর ছেলে পেন্নাসকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। অভিযোগ, পুলিশ হেফাজতে বাবা-ছেলের উপর ব্যাপক নির্যাতন চালানো হয়।। পরে হাসপাতালে দুজনই মারা যান। সেই ঘটনার চার্জশিটে নাম রয়েছে সান্তাকুলাম থানার প্রাক্তন হাউস অফিসার, দুই সাব ইন্সপেক্টর, দুই হেড কনস্টেবল ও চার কনস্টেবলের। তাঁদের বিরুদ্ধে খুন, অপরাধমূলক যড়যন্ত্র, প্রমাণ লোপাট ও মিথ্যা মামলা সাজানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আগেই।
ঘটনার সূত্রপাত লকডাউনের নিয়ম অগ্রাহ্য করে দোকান খোলা নিয়ে। জানা যায়, তামিলনাড়ুর তুতিকোরিন (Tuticorin) জেলায় মোবাইলের দোকান চালাতেন পি জয়রাজ ও তাঁর ছেলে পেন্নাস। লকডাউনের মধ্যে দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়েই দোকান খোলার অনুমতি দিয়েছে পালানিস্বামীর সরকার। কিন্তু সেই নির্দিষ্ট সময়ের পরেও জয়রাজ ও তাঁর ছেলে দোকান খুলে রেখেছিলেন বলে জানানো হয় পুলিশের তরফ থেকে। মৃতের পরিজনেদের অভিযোগ যে, সান্তনকুলম থানায় পুলিশ জয়রাজ ও তাঁর ছেলেকে প্রচণ্ড মারধর করে। তাতেই মৃত্যু হয় তাঁদের। ব্যবসায়ীও তাঁর ছেলের শরীরে পরিজনেরা আঘাতের চিহ্ন দেখেছেন বলে অভিযোগ করেন।
এই ঘটনায় দুই সাব ইনসপেক্টর-সহ চার পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী ই কে পালানিস্বামী (K Palaniswami) আগেই এই দু’জনের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে মৃতদের পরিবারকে ২০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। মৃতদের পরিবারের যে কোনও একজনকে চাকরি দেবেন বলেও জানান। তবে পুলিশের অত্যাচারেই ব্যবসায়ী ও তাঁর ছেলে প্রাণ হারিয়েছেন কিনা সেই বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রীও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.