সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একা নন। প্রধানমন্ত্রীর ডাকা নীতি আয়োগের বৈঠকে হাজির হলেন না আরও দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। মমতা আগেই জানিয়েছিলেন, নীতি আয়োগের হাতে রাজ্যগুলির সুযোগসুবিধা সংক্রান্ত বিষয়গুলি জড়িত না থাকায়, তিনি বৈঠকে যাবেন না। এরপর তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও এবং পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংও জানিয়ে দেন তাঁরা নীতি আয়োগের বৈঠকে হাজির হচ্ছেন না।
কেসিআরের সঙ্গে মোদির সম্পর্ক খুব একটা খারাপ নয়। আগামী সপ্তাহেই নিজের রাজ্যে একটি বড়সড় সেচ প্রকল্পের সূচনা করতে চলেছেন কেসিআর। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য প্রধানমন্ত্রীকেও আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন তিনি। আপাতত, সেই সেচ প্রকল্পের কাজেই ব্যস্ত আছেন বলে জানিয়েছেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী। যদিও, কেসিআরের নীতি আয়োগের বৈঠকে হাজির না থাকার পিছনে রাজনৈতিক কারণ থাকতে পারে বলেও মনে করছেন অনেকে। তেলেঙ্গানায় এমনিতে বিজেপির জমি খুব একটা শক্ত ছিল না। কিন্তু, এবারের লোকসভা ভোটে সবাইকে চমকে দিয়ে চারটি আসন জিতে নিয়েছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির এই আকস্মিক উত্থান কেসিআরকে কিছুটা হলেও ভাবাচ্ছে। সেকারণেই হয়তো কৌশলগতভাবে কেন্দ্রের ডাকা বৈঠক এড়িয়ে যেতে চাইলেন তিনি। অন্যদিকে ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং জানিয়েছেন, তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ। যে কারণে উপস্থিত থাকতে পারবেন না।
অমরিন্দর বৈঠকে অনুপস্থিত থাকলেও কংগ্রেস শাসিত অন্য চার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং কর্ণাটকের কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী বৈঠকে হাজির থাকছেন। বৈঠকের আগে এই চার পাঁচজনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিং। যা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। নীতি আয়োগের বৈঠকে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রীরা মূলত কৃষক সমস্যা নিয়ে সরব হচ্ছেন বলে সূত্রের খবর। এদিকে, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডি, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক সরব হবেন স্পেশাল স্টেটাসের দাবি নিয়ে।এদিনের বৈঠক থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সার্বিক বৃদ্ধির বার্তা দেন। সেই সঙ্গে রাজ্যগুলিকে প্রস্তাব দেন, জেলাস্তর থেকে জিডিপি বাড়ানোর কাজে মন দিতে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.