ছবি প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার। তবে তা সত্ত্বেও ধৈর্য ধরতে চাইছেন না অনেকেই। হেঁটে বাড়ি ফেরার নিরন্তর চেষ্টা যেন লেগেই রয়েছে। আর ঘটছে অঘটনও। তেমনই এক ঘটনার সাক্ষী মধ্যপ্রদেশের বারওয়ানি জেলা। আবারও হেঁটে বাড়ি ফিরতে গিয়ে প্রাণ গেল তিন পরিযায়ী শ্রমিকের।
উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের বাসিন্দা লাল্লুরাম, সিদ্ধার্থনগরের প্রেম বাহাদুর এবং ফতেপুরের আনিশ আহমেদ তিনজনই পেটের দায়ে মহারাষ্ট্রে শ্রমিকের কাজ করতেন। আচমকা লকডাউনে মাথায় হাত পড়ে যায় তাঁদের। কী করবেন, কিছুই ভেবে পাচ্ছেন না তাঁরা। এদিকে শেষ হয়ে যাচ্ছিল হাতে থাকা টাকাপয়সা। কখনও অর্ধাহার আবার কখনও অনাহারে কাটছিল দিন। মেলেনি শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনের টিকিটও। তাই বাধ্য হয়ে বাড়ি ফেরার আশায় হাঁটতে শুরু করেন ওই তিন পরিযায়ী শ্রমিক। মহারাষ্ট্র থেকে উত্তরপ্রদেশ হেঁটে ফেরা মুখের কথা নয়। হাঁটতে হাঁটতে বারবার ক্লান্তি এসেছে। জোটেনি জল। খাবারও মেলেনি। মধ্যপ্রদেশের বারওয়ানিতে আর নিজেকে সামলাতে পারেননি তাঁরা। অবসন্ন শরীরের আরও অবনতি হতে থাকে। মধ্যপ্রদেশ-মহারাষ্ট্রের সীমান্তে সেন্ধওয়ায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনজন। স্থানীয়রা তাঁদের দেহ রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখেন।
পুলিশের তৎপরতায় সেন্ধওয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তিনজনকেই। চিকিৎসক তাঁদের মৃত্যু নিশ্চিত করে। চিকিৎসক জানান, খাবারের অভাব এবং তীব্র গরমে এত রাস্তা হাঁটার জেরেই মৃত্যু হয়েছে ওই তিনজনের। সেন্ধওয়া থানার পুলিশ ওই তিন পরিযায়ী শ্রমিকের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, দীর্ঘদিন খাবার না খেয়ে শারীরিক ক্ষমতা কমে গিয়েছিল শ্রমিকদের। তার উপর আবার বহু কিলোমিটার রাস্তা তীব্র গরমে হেঁটেছিলেন তাঁরা। তাই তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। একের পর এক পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনাতেই যেন স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে তাঁদের অসহায়তার কাহিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.