সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বছর শুরুতে দু’ দিনের ত্রিপুরা সফরে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। রবিবার দুপুরে আগরতলা পৌঁছে পশ্চিম ত্রিপুরার চতুর্দশ দেবতার মন্দিরে পুজো দিলেন তিনি। এর পরই অভিষেকের অভিযোগ, “যাঁরা নিজেদের হিন্দুধর্মের ধারক-বাহক মনে করেন, তাঁরা আমাকে বাধা দেওয়ার জন্য মন্দির চত্বরে ডিজে বাজাচ্ছেন। একটাই কথা বলব, পিপীলিকার পাখা গজায় মরিবার তরে।”
বিধানসভা ভোটে বিজেপির বিরুদ্ধে রণকৌশল তৈরি করতে বছরের শুরুতেই ত্রিপুরা (TMC in Tripura) সফর অভিষেকের। সফরের শুরুতেই মন্দিরে পুজো দেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়-ও। পুজো দিয়ে বেরিয়ে বিজেপিকে নিশানা করেন অভিষেক। বলেন, “ত্রিপুরাকে মগের মুলুক বানিয়ে রেখেছে বিপ্লব দেবের সরকার। রাস্তা যেন মরণফাঁদ। চাকরিক্ষেত্রে দুর্নীতি হচ্ছে। আমরা এই সবের বিরুদ্ধে লড়াই করব।” একইসঙ্গে তাঁর চ্যালেঞ্জ, “ওদের এক ছটাক জমিও ছাড়ব না। বিনা যুদ্ধে জমি দেব না।”
বাংলায় বিধানসভা ভোটে বিপুল জয়ের পরই ত্রিপুরাকে পাখির চোখ করেছে তৃণমূল। পুরভোটে উত্থান হয়েছে ঘাসফুল শিবিরের। আগরতলায় ২০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছে তারা। তেলিয়ামুড়া, সোনামুড়ায় ২৬-৩০ শতাংশ ভোট এসেছে তাদের ঝুলিতে। পুরভোটে ত্রিপুরায় দ্বিতীয় দল হয়েছে তৃণমূল। এমনটাই দাবি অভিষেকের। সেই তথ্যের উল্লেখ করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, “এটি বিপ্লব দেবের শেষের শুরু। প্রচারের তিন মাসের মধ্যেই রাজ্যে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপির বিরুদ্ধে একমাত্র আমরাই লড়াই করছি। যেখানে যাচ্ছি সেখানে ওদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেখতে পাচ্ছি। মানুষের পাশে আছি আমরা। লড়াই করে বিজেপিকে হারাব।”
অভিষেকের এবারের কর্মসূচির মধ্যে মূলত রয়েছে বিজেপির হাতে আক্রান্ত কর্মীদের বাড়ি যাওয়া ও নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে পরবর্তী পদক্ষেপ চূড়ান্ত করা। তাঁর সফর ঘিরে উন্মাদনাও তুঙ্গে। বেলা বারোটা নাগাদ আগরতলায় নেমেই চতুর্দশ দেবতা মন্দিরের উদ্দেশে রওনা দেবেন। সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গেও কথা বলবেন। দুপুরে তেলিয়ামুড়া এলাকার কালি তিলিয়ায় দলীয় কর্মী অনির্বাণ সরকারের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারবেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.