Advertisement
Advertisement
TMC

নারী সুরক্ষা নিয়ে উদাসীন কেন্দ্র! স্থায়ী কমিটিতে প্রতিবাদী তৃণমূল

কেন সরকার হাত গুটিয়ে বসে রয়েছে সে কথা জানতে চেয়েছে তৃণমূল।

TMC protests in standing committee over Centre's indifference to women's safety

ফাইল ছবি

Published by: Biswadip Dey
  • Posted:February 22, 2025 9:48 am
  • Updated:February 22, 2025 9:48 am  

বিশেষ সংবাদদাতা, নয়াদিল্লি: কেন নির্ভয়া তহবিলের টাকা খরচ হয়নি! মহিলা বিল পাস করানোর পরে তা কার্যকর করার ক্ষেত্রে এখনও কেন পদক্ষেপ করল না সরকার! সংসদের স্বরাষ্ট্র বিষয়ক স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নারী সুরক্ষা নিয়ে কেন্দ্র সরকার উদাসীন বলে অভিযোগ করে একগুচ্ছ প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবারের বাজেটে সীমান্ত পরিকাঠামোর জন্য বরাদ্দ প্রায় আশি শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। কেন এই বৃদ্ধি এবং কোন কোন খাতে তা করা হয়েছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে বিশদ বিবরণের দাবি জানিয়েছে তৃণমূল। সেনসাস তথা আদম শুমার নিয়ে সরকারের তরফে কোনও আলোচনা শুরু হয়নি, কেন সরকার হাত গুটিয়ে বসে রয়েছে সে কথাও জানতে চাইল তৃণমূল।

বৃহস্পতিবার থেকে স্বরাষ্ট্র বিষয়ক স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ব্যয়বরাদ্দ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। শুক্রবার সেই বৈঠকেই কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা অমিত শাহর মন্ত্রকের আধিকারিকদের প্রশ্নবাণে জর্জরিত করেছেন। সূত্রের খবর, বৈঠকে কমিটি সদস্য তথা তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়ান পরিসংখ্যান তুলে ধরে কেন নির্ভয়া তহবিলের বরাদ্দের মাত্র এক তৃতীয়াংশ খরচ হয়েছে, বাকি টাকা পড়ে রয়েছে জানতে চান। মহিলাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা ব্যবস্থাকে মজবুত করার জন্য এই টাকা খরচ করার কথা। সে কথা স্মরণ করানোর পাশাপাশি ঘটা করে মহিলা সংরক্ষণ বিল পাস করানোর পরেও তা কার্যকর করার ক্ষেত্রে সরকার উদাসীন বলেও কটাক্ষ করেছেন তিনি। সূত্রের খবর, তৃণমূলের তরফে এদিন জেল আধুনিকীকরণের ক্ষেত্রেও সরকার যে বরাদ্দের মাত্র এক চতুর্থাংশ খরচ করতে পেরেছে, সে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। পাশাপাশি আন্দমান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, লাক্ষাদ্বীপের জন্য ৮৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হলেও মাত্র এক লক্ষ টাকা কেন খরচ হয়েছে সে প্রশ্নও তোলা হয়েছে।

Advertisement

সূত্রের খবর, বৈঠকে কমিটি সদস্য কংগ্রেস সাংসদ অজয় মাকেন দিল্লি পুলিশের কাছে মহিলা ও শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধের কত মামলা নথিবদ্ধ হয়েছে এবং মোট কত মামলা বকেয়া রয়েছে সেই প্রশ্ন তুলেছেন। আবার কৃষক আন্দোলনের জেরে দিল্লি-হরিয়ানার সিঙ্ঘু সীমানা দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকায় মানুষের সমস্যা হচ্ছে বলে উল্লেখ করে অবিলম্বে তা খালি করানোর দাবি করেছেন বিজেপি সাংসদ নবীন জিন্দাল।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement