প্রতীকী ছবি
ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চাপে পড়ে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে চলতি বছরেই বয়স্কদের টিবি রি-ভ্যাকসিনেশন শুরু করছে মোদি সরকার। টিবি নিয়ন্ত্রণকে জাতীয় কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে। বুধবার এই ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
জানা গিয়েছে,‘টার্নিং দি টাইড অন টিউবারকিউলোসিস’শীর্ষক এক আলোচনাসভায় অংশ নিয়ে সেন্ট্রাল টিবি ডিভিশনের অতিরিক্ত সহ-অধিকর্তা ড. সঞ্জয়কুমার মাত্তু বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ করতে হলে ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সিদের বিসিজি টিকার দ্বিতীয় ডোজ দিতে হবে। কোভিড টিকার মতোই প্রথমে বয়স্ক ও কো-মর্বিডদের টিকা দেওয়া হবে। কর্মসূচি রূপায়ণে দেশের সব জেলাকে যুক্ত করে আরোগ্য সাথী আপ তৈরি হয়েছে। টিবি নোটিফায়েড রোগ, তাই বেসরকারি ডাক্তার, ল্যাবরেটরিকেও যুক্ত হতে হবে। চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকা দেওয়া হবে। তাঁর যুক্তি, টিকা নেওয়ার পর ওই ব্যক্তি যেমন টিবি আক্রান্ত হবে না, তেমনই সংক্রমণও কমবে।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টিবি অ্যান্ড রেসপিরেটরি ডিজিজের বিশেষজ্ঞ ও কর্মসূচির আরেক কর্তা ড. রূপক সিংলা বলেন,“জন্মের সঙ্গে সঙ্গে বিসিজি ভ্যাকসিন দেওয়া হলেও আজীবন সেই টিকা কার্যকর থাকে না। তাই ফি বছর গড়ে ২৮ লক্ষ নতুন রোগী পাওয়া যাচ্ছে। দ্বিতীয়ত, মাল্টি ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট টিবি রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বাধ্য হয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ফি বছর চিকিৎসা পদ্ধতির বদল করছে। এই অবস্থায় রোগ নিয়ন্ত্রণে আনতে করোনা ভ্যাকসিনের মতো দেশজুড়ে টিকাকরণ হবে।” ভারত টিবি-র বিরুদ্ধে লড়াই করছে, কিন্তু আধুনিক টেস্ট-কিট বিদেশ থেকে আনতে হয়, তাই রাজ্যে কর্টিজ কিট অমিল বলে জানা গিয়েছে। দিল্লি এইমসের এদিনের আলোচনায় দেশীয় চিকিৎসা ব্যবস্থার উপরও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.