সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাঁচ বছর আত্মগোপনের পরও শেষরক্ষা হল না। পুলিশের জালে ধরা পড়ল খাগড়াগড় বিস্ফোরণ কাণ্ডের আরও এক মূলচক্রী। অসমের বরপেটা এলাকা থেকে ওই জেএমবি জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে অসম পুলিশ। ধৃতের নাম আজহার আলি।
২০১৪ সালের ২ অক্টোবর বর্ধমানের খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পরই তদন্তের দায়িত্বভার গ্রহণ করে এনআইএ। তদন্তে নেমে পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতে জামাতউল মুজাহিদিন বাংলাদেশ বা জেএমবি-এর বিশাল নেটওয়ার্কের কথা জানতে পারেন তদন্তকারী অফিসাররা। তদন্ত শুরুর পর একে একে গ্রেপ্তার করা হয় ১৯ জনকে। মামলা চলার পর বেকসুর খালাসও পেয়ে যায় কয়েকজন। কিন্তু ঘটনার পর প্রায় পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও বেপাত্তা ছিল খাগড়াগড় কাণ্ডের এক মূলচক্রী আজহার আলি। এবার পুলিশের জালে সেই আজহার।
জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগে দিল্লিতে এনআইএ-র তরফে ১২৫ জন জেএমবি জঙ্গির নামের একটি তালিকা বিভিন্ন রাজ্যের এটিএস ও এসটিএফ প্রধানদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সেই তালিকার একদম শীর্ষে ছিল আজাহারের নাম। গত এক মাস ধরে তার অবস্থান ও গতিবিধির উপর নজরদারি চালানোর পর গোপন সূত্র মারফত কেন্দ্রীয় ইনটেলিজেন্স ব্যুরো ও এনআইএ খবর পায় যে অসমের বরপেটা এলাকায় রয়েছে আজহার। এই তথ্য পেয়েই অসম পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে গোয়েন্দারা। এরপরই আজহারকে গ্রেপ্তার করে অসম পুলিশ। বরপেটার পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ধৃত আজহার আলির বয়স ২৫। বরপেটার রাউমারি গ্রামের বাসিন্দা। সংগঠনের উত্তর পূর্বের কাজই সে দেখতো। বারবার ডেরা বদল করলেন মঙ্গলবার আর তা পারেনি। ধরা পড়ে যায় পুলিশের জালে। ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে পেনড্রাইভ ও অসমের সীমান্তবর্তী এলাকার বেশকিছু নকশা।
সূত্রের খবর, গ্রেপ্তারির পর ধৃত জেএমবি জঙ্গিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, বাংলাদেশ থেকে ভারতে বিস্ফোরক আনার দায়িত্ব ছিল আজহার আলি ওরফে আজহারউদ্দিন আহমেদের কাঁধে। ওপার থেকে এপারে বিস্ফোরক আনার বিষয়ে মুখ্য ভূমিকা নিত এই আজহারের। ধৃত আজহারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই জেএমবি জঙ্গির অন্য চাঁইদের হদিশ মিলবে বলেই মনে করছেন তদন্তকারী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.