সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুলিশের গুলিতে নিকেশ হয়েছিল উত্তরপ্রদেশের অপহরণকারী। গ্রামবাসীদের রোষে প্রাণ হারিয়েছিলেন তার স্ত্রী। একসঙ্গে বাবা-মাকে হারিয়ে তারপর থেকেই অনাথ তাদের এক বছরের কন্যাসন্তান গৌরী। কী হবে তাঁর ভবিষ্যৎ, তা নিয়ে চিন্তিত ছিল পরিজনেরা। এবার তাকে দত্তক নেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন উত্তরপ্রদেশের শীর্ষ পুলিশ আধিকারিক। তাঁর এই ঘোষণার পর ধন্য ধন্য করছে আম জনতা।
বৃহস্পতিবার থেকে ফারুকাবাদের এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গৌরী। মহিলা কনস্টেবলরা তার দেখাশোনা করছেন। সে সুস্থ হয়ে গেলে তাকে দত্তক নেবেন বলে সর্বভারতীয় এক সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের কানপুর রেঞ্জের আইজি মোহিত আগরওয়াল। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, “সমস্ত কাজকর্ম মিটে গেলে নিয়ম মেনে গৌরীকে দত্তক নেব। ওকে বোর্ডিং স্কুলে রেখে মানুষ করব। ওর পড়াশোনা-সহ আনুষঙ্গিক খরচও বহন করব আমি।” ভবিষ্যতে ওকে আইপিএস আধিকারিক তৈরি করার ইচ্ছেও প্রকাশ করেছেন মোহিত।
খুনের ঘটনায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ছিল সুভাষ বাথম। মাঝে জামিনে মুক্ত ছিল সে। দিনকয়েক আগে মেয়ের জন্মদিনের পার্টির অজুহাতে গ্রামের ১৫টিরও বেশি শিশু এবং মহিলাদের নিমন্ত্রণ করে। সেই মতো বৃহস্পতিবার নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে যান তাঁরা। সেই সুযোগে ওই শিশু এবং মহিলাদের আটকে রাখে সুভাষ। সন্ধেবেলার দিকে গ্রামবাসীরা তাদের খোঁজ নিতে যান। সেই সময় সুভাষ গুলি চালাতে শুরু করে। তাতে এক গ্রামবাসী জখম হন। তাঁর পায়ে গুলি লাগে। খবর পেয়ে পুলিশ এবং পরে এসটিএফ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পুলিশকর্মীদের লক্ষ্য করেও গুলি ও বোমা ছোঁড়া হয়। মোট তিনজন পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন। তবে গভীর রাতে ঘটনার মোড় ঘোরে। মাসছয়েকের একটি শিশুকে গ্রামবাসীদের হাতে তুলে দেয় সুভাষ। উত্তেজিত জনতা দরজা ভেঙে সুভাষের ঘরে ঢুকে পড়ে। ঘনঘন গুলি চালাতে থাকে অপহরণকারী সুভাষ। পালটা জবাব দিতে থাকে পুলিশ। পুলিশের গুলিতেই খতম হয় সুভাষ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.