ফাইল ফটো
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বড়সড় সাফল্য সেনাবাহিনীর। জম্মু কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় সেনার গুলিতে নিহত লস্কর-ই-তৈবার কাশ্মীর শাখার প্রধান আবু দুজানা। আরেক লস্কর জঙ্গি আরিফ লিহারিকেও নিকেশ করা সম্ভব হয়েছে। সেনাবাহিনীর জালে ধরা পড়েছে আরও দুই লস্কর জঙ্গি। দুজানা ও লিহারির সঙ্গী হিসেবে তারা অপারেশন চালাচ্ছিল বলে সেনা সূত্রে খবর।
[‘ভারতের অধিকাংশ মুসলমান আগে হিন্দুই ছিলেন’]
গোপন সূত্রে জঙ্গিদের আত্মগোপনের খবর পেয়ে পুলওয়ামার হাকরিপোরা গ্রামে তল্লাশি চালায় সেনা। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে চলে চিরুনি তল্লাশি। তখনই গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। পালটা জবাব দেয় সেনাও। শুরু হয় গুলির লড়াই। তাতেই নিহত হয় দুজানা ও লিহারি। দুজানা উত্তর পাকিস্তানের বাসিন্দা। তার নাম সেনাবাহিনীর হিটলিস্টে উপরের দিকেই ছিল। মে মাসে জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় দুজানার হদিশ পায় সেনা। সেসময় পাথর ছুঁড়ে তাকে আত্মগোপনে সহায়তা করে বিক্ষোভকারীরা। এই নিয়ে পঞ্চমবার বেঁচে যায় দুজানা। তবে এবার শেষরক্ষা হলনা।
[বাংলাদেশে গুলির লড়াই, খতম কুখ্যাত জঙ্গি]
প্রসঙ্গত, চলতি বছরে জম্মু-কাশ্মীরে একশোর বেশি জঙ্গি নিকেশ করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। এখনও হিট-লিস্টে অনেক নাম রয়েছে। তাদের নিকেশ করার প্রক্রিয়া চলছে। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে খবর, লস্কর-ই-তৈবা, জয়েশ-ই-মহম্মদ এবং হিজবুল মুজাহিদিন গোষ্ঠীর বহু জঙ্গির নামের তালিকা তৈরি করেছে নিরাপত্তাবাহিনী। ইতিমধ্যে সেই তালিকায় থাকা দক্ষিণ কাশ্মীরে ৬ পুলিশকর্মী হত্যার অন্যতম অভিযুক্ত লস্কর কম্যান্ডার বশির লস্করি এবং হিজবুল নেতা সবজার আহমেদ ভাটকে খতম করা হয়েছে।
[চলতি আগস্টেই আছে টানা ছুটির সুযোগ, জানেন কীভাবে?]
জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক জানান, চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে ১০২ জন জঙ্গি খতম হয়েছে। বেশিরভাগ এনকাউন্টার দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামা, শোপিয়ান ও অনন্তনাগ জেলায় হয়েছে। এছাড়া উত্তর কাশ্মীরের কুপওয়ারা ও বান্দিপোরাতেও বেশ কিছু জঙ্গি নিকেশ করা গিয়েছে বলে সেনা সূত্রে খবর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.