সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শারীরিক অসুস্থতার কারণে আত্মসমর্পণ করতে চায় মাওবাদীদের শীর্ষ নেতা গণপতি (Ganapathy) ওরফে মাপ্পাল্লা লক্ষ্ণণ রাও। এই খবরই পাওয়া যাচ্ছে তেলেঙ্গানা পুলিশ সূত্রে। যদিও এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে এই বিষয়ে কোনও ঘোষণা করা হয়নি।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, ৭৪ বছরের ওই মাওবাদী নেতা বেশ কয়েকবছর ধরে শ্বাসকষ্ট, ডায়াবেটিস ও হাঁটুর সমস্যায় ভুগছে। এই কারণে গত দুবছর আগে সিপিআই (মাওবাদী) দলের শীর্ষ পদ থেকে ইস্তফাও দিয়েছে। তারপরেও অবশ্য পুলিশ এবং আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যদের ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল। তাকে ধরিয়ে দিতে পারলে এক কোটি পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণাও করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। কিন্তু, তাতেও কোনও লাভ হয়নি। বর্তমানে শারীরিক অসুস্থতার কারণে সেই গণপতিই তেলেঙ্গানা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করতে চাইছে। তার সঙ্গে আত্মসমর্পণের ইচ্ছা প্রকাশ করেছে আরও পাঁচ মাওবাদী নেতা।
সূত্রের খবর, তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চ্ন্দ্রশেখর রাওয়ের মতো গণপতিও করিমনগর জেলার বাসিন্দা। আর তাই আত্মসমর্পণ করার জন্য পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ না করে কেসি আর ঘনিষ্ঠ তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির কয়েকজন নেতার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে মাওবাদীদের শীর্ষ নেতা। আর কয়েকদিনের মধ্যে তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতেই সে নিজেকে পুলিশের হাতে তুলে দিতে চাইছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অবিভক্ত অন্ধ্রপ্রদেশের একটি কৃষক পরিবারের সন্তান গণপতি ছোট থেকেই পড়াশোনায় খুব মেধাবী ছিল। বিজ্ঞানে স্নাতক হওয়ার পর B.Ed. ডিগ্রিও অর্জন করে। পরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ধীরে ধীরে শীর্ষ পদে পৌঁছে যায়। একসময়ে তার অঙ্গুলিহেলনেই গোটা ভারতের মাওবাদ আন্দোলন পরিচালিত হত। ২০০৪ সালে সিপিআই (এমএল), পিপিলস ওয়ার গ্রুপ এবং মাওয়িস্ট কমিউনিস্ট সেন্টার অফ ইন্ডিয়া ((MCCI) -কে একত্রিত করে দেশের মাওবাদী আন্দোলনের গতিপথই বদলে দিয়েছিলেন। কিন্তু, গত কয়েক বছর ধরে শারীরিক অসুস্থতার কারণে দলে গুরুত্ব কমছিল তার। তাই মহারাষ্ট্র ও ছত্তিশগড় সীমান্তে থাকা জঙ্গলে লুকিয়ে থেকে মাওবাদীদের পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করছিল। কিন্তু, এখন ৪১ বছর ধরে আত্মগোপন করার পর আত্মসমর্পণ করতে চাইছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.