সুব্রত বিশ্বাস: ‘চুরি বিদ্যা মহাবিদ্যা, যদি না পড়ে ধরা’। চিরাচরিত এই প্রবাদের রাম ধাক্কায় চিন্তিত রেল। চলতি বছরের মাঝামাঝি নাগাদ রেল তাদের বার্ষিক হিসাবে দেখেছে এক বছরে ২১ লক্ষ টাওয়েল চুরি গিয়েছে। যা অর্থ মূল্য ১৪ কোটি টাকা। এই বিপুল ক্ষতি রুখতে রেল যাত্রীদের সতর্ক করা ছাড়া আর বিকল্প পথ খুঁজে পাচ্ছে না। রেল বোর্ডের এক কর্তার কথায়, শীতাতপ কামরায় এই লিনেন দেওয়া হয়। যে সেটে থাকে দুটো চাদর, একটা তোয়ালে, একটি বালিশ ও একটি কম্বল। যার মধ্যে তোয়ালে চুরি যাচ্ছে প্রচুর সংখ্যায়। চুরি রুখতে সিসিটিভি বড় হাতিয়ার হলেও তা যাত্রীদের গোপনীয়তা রক্ষার ক্ষেত্রে লাগানো সম্ভব নয়। ফলে একমাত্র পথ যাত্রীদের সতর্ক করা।
[ নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত, হুক্কা-বার পুরোপুরি নিষিদ্ধ হল পাঞ্জাবে ]
যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যে রেল এসি কামরাতে এই লিনেন দিয়ে থাকে। প্রতিদিন বিভিন্ন ট্রেনে ৩.৯ লক্ষ লিনেন দেওয়া হয়ে থাকে। বেডরোলে থাকা চাদর, তোয়ালে, বালিশ, কম্বলের মধ্যে একাধিক সামগ্রী চুরি যায় সহজেই। গত অর্থবর্ষে বিভিন্ন ট্রেনের এসি কামরা থেকে ২১ লক্ষ ৭২ হাজার ২৪৭ বেডরোল গায়েব হয়ে যায়। যার মধ্যে ১২ লক্ষ ৮৩ হাজার ৪১৫টি তোয়ালে, ৪ লক্ষ ৭১ হাজার ৭৭টি চাদর ও ৫৬ হাজার ২৮৭টি বালিশ ও ৪৬ হাজার ৫১৫টি কম্বল।
চুরিতে শীর্ষে সাদার্ন জোন ও সাউথ সেন্ট্রাল জোন। সাদার্ন রেলের রেকর্ডে গত অর্থবর্ষে ২ লক্ষ ৪ হাজার ১১৩টি হাত টাওয়েল, ২৯ হাজার ৫৭৩টি বেডশিট, ৪৪ হাজার ৮৬৮টি পিলো কভার, ৩ হাজার ৭১৩ বালিশ ও ২ হাজার ৭৪৫টি কম্বল চুরি যায়। সাউথ সেন্ট্রাল জোনে ৯৫ হাজার ৭০০টি টাওয়াল, ২২ হাজার ৩২৩টি বেডশিট, ২৯ হাজার ৭৪৭ পিলো কভার, ২ হাজার ৪৬৩টি বালিশ ও ৩ হাজার ৩৫২টি কম্বল চুরি যায়। আগে ২০ টাকা করে এই বাবদ চার্জ নেওয়া হলেও এখন জল ও এই সামগ্রী টিকিটের সঙ্গে অ্যাডজাস্ট করা রয়েছে।
আইআরসিটিসির গ্রুপ জেনারেল ম্যানেজার দেবাশিস চন্দ্র জানান, যাত্রীরা এই বদভ্যাস না ছাড়লে এই চুরি বন্ধ হওয়ার নয়। কারণ, গভীর রাতে ও ভোররাতে যাত্রীরা ট্রেন থেকে নামার সময় ব্যাগে পুরে নিলে কে দেখবে? তবে এই বেডরোল অধিকাংশ ঠিকা সংস্থাকে দেওয়ায় তাদেরই গুনাগার দিতে হয়।
[ উপত্যকায় ফের জঙ্গিদের টার্গেট যুবক, অপহৃতের খোঁজে জারি তল্লাশি ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.