সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শত্রুপক্ষের বুলেট বুকে নিয়ে প্রাণ দিয়েছিল বাবা। সেটাও একটা জুন মাস। ১৯ বছর পর সেই জুন মাসেই বাবার ব্যাটালিয়নেই যোগ দিলেন কারগিলে শহিদ জওয়ানের পুত্র।
[ ক্যানসারে আক্রান্ত দলাই লামা! কেন মাথাচাড়া দিচ্ছে জল্পনা? ]
২ নং রাজপুত রাইফেলসের ল্যান্সনায়েক ছিলেন বচন সিং। ঠিক ১৯ বছর আগে কারগিল যুদ্ধে শত্রুপক্ষের বুলেট এসে ঝাঁজরা করে দেয় তাঁকে। মৃত্যু হয় তাঁর। কিন্তু শত্রুরা শুধু এক জওয়ানেরই প্রাণ নিতে পেরেছিল। সাহস ছিনিয়ে নিতে পারেনি। না দেশের, না শহিদ জওয়ানের পরিবারের সদস্যদের কারও। শহিদের স্ত্রী কমলেশ বালা এহেন ঘটনাতেও ভেঙে পড়েননি। বরং বরাবর চেয়েছিলেন বাবার মতোই বীর হয়ে উঠুক ছেলেরা। তার জন্য কম সংগ্রাম করতে হয়নি তাঁকে। স্বামী যখন শহিদ হন তখন তাঁর বড় ছেলে হিতেশ কুমারের বয়স মোটে ছয় বছর। বাবাকে অত অল্প বয়সে হারানোর পরও অবশ্য সে সৈনিক হওয়ার স্বপ্ন জলাঞ্জলি দেয়নি। বরং যত দিন কেটেছে তত জেদ বেড়েছে। এবং একটা সময় ঠিক করে নেন তিনি ভারতীয় সেনাতেই যোগ দেবেন। তাঁর স্বপ্নপূরণ হয়েছে। ২৪ বছর বয়সে বাবার ব্যাটালিয়নেই ১৯ বছর পর যোগ দিচ্ছেন তিনি।
[ বুলেট ট্রেনের জন্য কাটা পড়বে দেড় লক্ষ গাছ, প্রতিবাদে শুরু আন্দোলন ]
স্বামীকে হারিয়ে একটা বছর কী করবেন তা বুঝে উঠতেই পারেননি শহিদ পত্নী। কিন্তু একটা ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে যান যে, তাঁর ছেলেকে সেনা হিসেবেই তৈরি করবেন। তার জন্য যা করতে হয়, তা করবেন। কোথাও পিছিয়ে পড়বেন না। হিতেশের খেলাধুলোতে ঝোঁক ছিল। মিলিটারি স্কুলেই পড়াশোনা শুরু। পরে অবশ্য অন্য কেরিয়ার বেছে নেওয়ারও সুযোগ হয়। কিন্তু ততদিনে সেনাতে যোগ দেবেন ঠিক করে ফেলেছেন তিনি। মায়ের এবং তাঁর নিজেরও স্বপ্নপূরণ হয়েছে। যে শত্রুরা তাঁর বাবাকে কেড়ে নিয়েছে, তাদের ঘায়েল করতে সেনার হয়ে হাতে অস্ত্র তুলে নিচ্ছেন হিতেশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.