সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তৃতীয় লিঙ্গের (Third Gender) ব্যক্তিদের সঠিক প্রমাণ দিতে হবে। আর সেই প্রমাণ দেখতে চেয়ে চারজনকে পোশাক খুলতে বাধ্য করল পুলিশ! হেনস্তার এখানেই শেষ নয়। তাদের মারধরও করা হয় বলে থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন তৃতীয় লিঙ্গের এক প্রতিনিধি। এমনই অমানবিক ঘটনা ঘটেছে ত্রিপুরায় (Tripura)। যদিও পুলিশের দাবি, তারা কাউকে হেনস্তা করেনি। সম্পূর্ণ মিথ্যে অভিযোগ আনা হচ্ছে।
ঘটনা গত রবিবারের। ওইদিন মেলার মাঠ এলাকায় এক অনুষ্ঠান সেরে ফিরছিলেন তৃতীয় লিঙ্গের চার ব্যক্তি। অভিযোগ, রাতে টহলরত পুলিশকর্মীরা তাঁদের ঘিরে ধরে নানা প্রশ্ন করতে থাকেন। শেষমেশ পশ্চিম ত্রিপুরা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপরই শুরু হয় হেনস্তা (Hrrassed)। পরনে মহিলাদের পোশাক কেন, এই প্রশ্ন করার পর তাঁদের পোশাক খোলার কথা বলা হয়। অভিযোগ, তৃতীয় লিঙ্গ পরিচয়ের প্রমাণের জন্য পুলিশকর্মীরা জোর করে তাঁদের জামা ছিঁড়ে (Stripped) দেয়। পরেরদিন থানা থেকে ছাড়ার সময় এই মর্মে পুলিশ তাঁদের মুচলেকা লিখিয়ে নেয় যে তাঁরা সকলে পুরুষ এবং আর কখনও মহিলাদের পোশাক পরবেন না। এরপরই তাঁদের একজন পশ্চিম ত্রিপুরা থানায় হেনস্তার অভিযোগ দায়ের করেন।
যদিও পুলিশের পালটা দাবি, ওই চারজন সেদিন রাতে মেলার মাঠ এলাকায় তোলাবাজি করছিল। তাই তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। যথাযথ উত্তর দিতে না পারায় তাঁদের আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরেরদিন সবাইকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে তাঁরা পোশাক খোলা, মারধরের যে অভিযোগ আনছেন, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
তবে বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট শোরগোল শুরু হয়েছে ইতিমধ্যে। ঘটনার পরদিন ওই চার তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তির মধ্যে একজন থানায় পুলিশের বিরুদ্ধেই অভিযোগ দায়ের করেছেন। তার প্রায় ৭২ ঘণ্টা পর পালটা সাফাই দিল পুলিশ। প্রশ্ন উঠছে, অভিযোগ দায়েরের পর আত্মপক্ষ সমর্থনে কেন এত দেরি হল আইনরক্ষকদের? তৃতীয় লিঙ্গের প্রতিনিধিদের আচরণ বা পোশাক-আশাক নিয়ে কেনই বা পুলিশের ‘দাদাগিরি’, এই প্রশ্ন তুলে উর্দিধারীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অনেকেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.