ছবি: প্রতীকী
প্রণব সরকার, আগরতলা: নেশা আসক্তি থেকে চরম অবক্ষয়ের বীভৎস প্রকাশ। নবম শ্রেণির ছাত্র কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে খুন করল মা, ছোট বোন, দাদু এবং প্রতিবেশী এক মহিলাকে। ত্রিপুরার (Tripura) কমলপুরের দুরাই শিববাড়ি পঞ্চায়েতের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা। কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার স্থানীয় বাসিন্দা হারাধন দেবনাথের বাড়িতে পুলিশ পৌঁছয়। পুলিশ দেখতে পায় ঘরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে রক্তের দাগ। উদ্ধার হয় রক্তমাখা কুড়ুল। বাড়ির চারজন লোক নিখোঁজ। বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে একটি পরিত্যক্ত গর্ত দেখতে পাওয়া যায়। সেখান থেকে উদ্ধার হয় চারটি দেহ। হারাধনবাবুর বাবা বছর সত্তরের বাদল দেবনাথ, স্ত্রী সবিতা দেবনাথ (৩৫), ছোট মেয়ে সুকর্ণা দেবনাথ(১০) তিনজনের ক্ষতবিক্ষত দেহ পড়ে রয়েছে। ঘরের পাশ থেকে উদ্ধার হয় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী রেখা দে’র (৪৫) ক্ষতবিক্ষত দেহ। হারাধনবাবুর ছেলে নবম শ্রেণির ছাত্রটি তাঁদের খুন করেছে বলেই অভিযোগ প্রতিবেশীদের।
প্রতিবেশীদের দাবি, শনিবার বিকেল ৩টে নাগাদ বাড়িতে প্রচণ্ড শব্দে গান বাজাচ্ছিল ওই কিশোর। তখনই তাঁদের বাড়ি থেকে আর্ত চিৎকার-সহ বিভিন্ন শব্দ শুনতে পান প্রতিবেশীরা। তারা তখন হারাধনবাবুকে বিষয়টি জানান। তিনিই পুলিশে খবর দেন। গান বাজিয়ে মা, বোন ও দাদুকে সে খুন করে বলেই অভিযোগ। সেই সময় রেখা জল খাবার জন্য তাদের বাড়িতে ঢোকে। খুব সম্ভবত প্রমাণ লোপাটের জন্য তাকেও হত্যা করে নবম শ্রেণির নাবালক পড়ুয়া। তারপর সে পালিয়ে যায়। রবিবার হালহালি বাজার থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। সূ্ত্রের খবর, চারজনকে হত্যা করার বিষয়টি স্বীকার করেছে অভিযুক্ত।
হারাধনবাবু একটি দোকানে সামান্য বেতনের চাকরি করেন। কিন্তু ওই কিশোর প্রায়দিনই বাড়িতে টাকার জন্য অশান্তি করত। নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েছিল সে। সম্প্রতি ওই কিশোর মোবাইল গেম খেলতে গিয়ে অন্তত চল্লিশ হাজার টাকা নষ্ট করে। আর্থিক বিবাদের জেরে এই চরম পদক্ষেপ বলেই অনুমান তদন্তকারীদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.