সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউনে একঘেয়ে জীবন। কীভাবে সময় কাটবেন ভেবে কূল পাচ্ছিলেন না। তাই ঠিক করেন বন্ধুবান্ধব-প্রতিবেশীদের সঙ্গে তাসের আড্ডা জমাবেন। সময় নষ্ট না করে তাস খেলার জন্য রাজিও করে ফেলেন অনেককে। কিন্তু তার পরিণতি যে এমন হবে, তা হয়তো স্বপ্নেও ভাবেননি এক ট্রাকচালক। তাস খেলায় মজে করোনা আক্রান্ত হলেন ২৪ জন। করোনা মোকাবিলায় লকডাউনের প্রয়োজনীয়তা এবার হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন ওই চালক।
ঘটনা অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়ার। শনিবার কৃষ্ণ জেলার কালেক্টর মহম্মদ ইমতিয়াজ জানান, কৃষ্ণ লঙ্কা এলাকার এক ট্রাকচালকের ডাকে তাস খেলতে এক জায়গা জড়ো হন বেশ কয়েকজন। অন্যদিকে মহিলারাও বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে একঙ্গে তাম্বোলা খেলায় মত্ত হয়ে ওঠেন। সামাজিক দূরত্বকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই চলতে থাকে খেলা। আর তাতেই সংক্রমিত হন ২৪ জন। অথচ এই বিজয়ওয়াড়াকে সে রাজ্যের অন্যতম ‘হটস্পট’ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত সেখানে একশোরও বেশি মানুষের শরীরে মিলেছে ভাইরাস।
তবে এই একটি ঘটনা নয়। কর্মিকা নগরে একই কীর্তি করেছেন আরেক ট্রাকচালকও। বাড়িতে একঘেয়ে হচ্ছিলেন। তাই বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের সঙ্গে গল্প-গুজবে মেতে ওঠেন। যার জেরে মোট ১৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ওই চালকের থেকেই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এই দুই ঘটনায় মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে ওই এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা একলাফে প্রায় ৪০ বাড়িয়ে দেয়। জেলার কালেক্টর এক ভিডিওতে ক্ষোভ দিয়ে বলেন, “সামাজিক দূরত্ব না মানার জন্যই এমন ঘটনা ঘটে গেল। সংক্রমণ রুখতে প্রত্যেককে সোশ্যাল ডিসটেন্টিং মেনে চলার আবেদন জানাচ্ছি।”
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সেলুনে চুল কাটতে গিয়ে সংক্রমিত হয়েছিলেন মধ্যপ্রদেশের খারগোঁ জেলার এক গ্রামের ছয় ব্যক্তি। জানা যায়, ইন্দোর থেকে আসা এক ব্যক্তি প্রথমে ওই গ্রামের সেলুনে গিয়েছিলেন চুল কাটতে। তাঁর ব্যবহৃত কাপড়ই ব্যবহার করেছিলেন নাপিত তাতেই ছড়ায় সংক্রমণ। এবার দুই চালকই অন্ধ্রপ্রদেশে হয়ে উঠলেন করোনার বাহক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.