সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলা সামরিক সংঘাতে প্রকাশ্যে এল তুরস্কের ‘গদ্দারি’। ভারতে হামলা চালাতে শুধু ড্রোন দিয়ে সাহায্য নয়, পাকিস্তানে সেনাও পাঠিয়েছিল তারা। এমনকী অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন ভারতের হামলায় মৃত্যু হয় তুরস্কের ২ সেনা আধিকারিকের। চাঞ্চল্যকর এই তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই দু’মুখো সাপ তুরস্কের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবি উঠতে শুরু করেছে। বিশ্বাসঘাতক দেশকে বয়কটের দাবি তুলেছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ।
২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর প্রত্যাঘাতের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরপরই পাকিস্তানের মাটিতে তুরস্কের সন্দেহজনক তৎপরতা সামনে আসে। পাকিস্তানের ৬টি হারকিউলিস বিমান, করাচি বন্দরে তুরস্কের যুদ্ধজাহাজের উপস্থিতি নজর এড়ায়নি ভারতের। এরপর ৭ মে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯ জায়গায় হামলা চালিয়ে সন্ত্রাসবাদের আঁতুড়ঘর গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ভারত। তার পালটা জম্মু থেকে গুজরাট পর্যন্ত লাগাতার ড্রোন হামলা চালায় পাকিস্তান। চেষ্টা চলে ভারতের সেনা ঘাঁটিতে আক্রমণের। যদিও সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। এরপর সেনার তরফেও জানা যায়, ভারতের মাটিতে যে পাক ড্রোন আছড়ে পড়েছিল তার মধ্যে ৩৫০টিরও বেশি ড্রোন ছিল তুরস্কের।
এই ডামাডোলের মাঝেই প্রকাশ্যে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট। যেখানে দাবি করা হচ্ছে, তুরস্ক কেবল ড্রোন দিয়ে পাকিস্তানকে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সাহায্য করেনি, বরং নিজের দেশ থেকে সেনা ও অপারেটরও পাঠিয়েছিল। তুরস্কের সেনা আধিকারিকদের উপস্থিতিতেই ৭ ও ৮ মে রাতে ড্রোন হামলা চলে ভারতে। কীভাবে ড্রোন পরিচালনা করতে হবে তার প্রশিক্ষণও দেয় তুরস্কের সেনা।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর তুরস্কের পাশে দাঁড়িয়ে বিপুল ত্রাণ পাঠিয়েছিল ভারত। কিন্তু দুর্দিনের বন্ধু ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা তো দূর, ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে অস্ত্র যুগিয়েছে তুরস্ক! এই রিপোর্ট সামনে আসতেই বিশ্বাসঘাতক তুরস্কের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবি উঠেছে। আরএসএসের শাখা সংগঠন স্বদেশী জাগরণ মঞ্চের তরফে দাবি করা হয়েছে, তুরস্ককে বয়কটের। শুধু তাই নয়, দেশটির উপর অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক নিষেধাজ্ঞার দাবি তুলেছে সংগঠনটি। দেশবাসীর কাছেও আবেদন জানানো হয়েছে তাঁরা যেন তুরস্ক সফরে না যান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.