চলছে উদ্ধারকাজ।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের খনি বিপর্যয় মেঘালয়ে। এবার মুকনর এলাকায় কয়লাখনিতে ধসের ফলে মৃত্যু হল দু’জনের। রবিবার এই খবর প্রকাশ্যে আসে। পূর্ব জয়ন্তিয়া পাহাড় এলাকার পুলিশ সুপার এস নংটেঙ্গার জানিয়েছেন, খনি থেকে কয়লা তুলতে গিয়ে পাথরের আঘাতে তাঁদের মৃত্যু হয়। খনির ভিতরেই দু’জনের দেহ পাওয়া যায়। তাঁদের মধ্যে একজনের নাম মনোজ বসুমাতারি। ওই খনির ভিতর আরও শ্রমিক আটকে রয়্ছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তাই ইতিমধ্যেই উদ্ধারকাজ শুরু করেছে পুলিশ। তবে খনির মালিকের এখনও কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি।
এদিকে মেঘালয়ের অন্য এক কয়লাখনিতে আটকে পড়ে ১৫ জন শ্রমিকের উদ্ধারকাজ এখনও চলছে। খনি থেকে জল বের করার কাজ শুরু করে দিয়েছেন দমকলকর্মীরা। জল বের করার জন্য দু’টি পাম্প চালানো হয়। একটি সাত ঘণ্টা, অন্যটি সাড়ে ছ’ঘণ্টা চলে। প্রায় ৪ ফুট পর্যন্ত জল বের করে দেওয়া হয়। কিন্তু নদীর জল ঢুকে আবার সেই জলস্তর ২ ফুট বাড়িয়ে দিয়েছে বলে খবর। ওই ১৫ জনকে উদ্ধার করতে এখন ভারতীয় নৌসেনা ও জাতীয় বিপর্য় মোকাবিলা দপ্তর যৌথ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এর আগে ধসের ফলে খনিগর্ভে আটকে পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধারে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তরফে স্বল্প ক্ষমতাসম্পন্ন পাম্প কাজে লাগানো হয়েছিল। তবে তা জল বের করে আনতে সক্ষম হয়নি। তার পরই এনডিআরএফ বাহিনীর আধিকারিকের দাবি মতো উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন পাম্পের ব্যবস্থা করা হয়।
[ কলাগাছ থেকে সস্তায় ন্যাপকিন, অভিনব উদ্ভাবনে তাক লাগাল স্কুলপড়ুয়া ]
প্রসঙ্গত, মেঘালয়ে খনি দুর্ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকারকে ৭ জানুয়ারির মধ্যে বর্তমান পরিস্থিতি জানতে চেয়ে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। শুধু তাই নয়, ওই খনির মালিকের বিরুদ্ধে দ্রুত কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দেওয়ার জন্যও কেন্দ্রকে বলেছে দেশের শীর্ষ আদালত। পাশাপাশি অবৈধ খনন রুখতে ব্যর্থ হওয়ায় মেঘালয় সরকারকে ১০০ কোটি টাকার জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ‘ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনাল’।
[ এবার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্যও আধার সংযুক্তিকরণ বাধ্যতামূলক হচ্ছে! ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.