সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জোর করে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করার (Love Jehad) অভিযোগে জেলে পুড়েছিল যোগীর পুলিশ। এমনকী, স্ত্রীর গর্ভপাত করানোরও অভিযোগ উঠেছিল প্রশাসনের বিরুদ্ধে। অথচ সেই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ মিলল না। অগত্যা ১৫ দিন পর জেল থেকে ছেড়ে দিত হল অভিযুক্ত যুবককে। একই অভিযোগে তাঁর ভাইকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ছাড়া পেলেন তিনিও। উলটে আরও একবার মুখ পুড়ল উত্তরপ্রদেশ সরকারের।
জেল থেকে ছাড়া পেয়ে অভিযুক্ত রশিদের প্রতিক্রিয়া, “আমি আর কী বলতে পারি। অনুমতি নিয়েই বিয়ে সেরেছিলাম। তারপরেও ১৫ দিন জেলে কাটাতে হল। তবে শেষ অবধি সত্যের জয় হল। আজ আমি খুব খুশি।” উত্তরপ্রদেশ পুলিশের পক্ষে এটা বড় ধাক্কা বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
গত ২৪ জুলাই মোরাদাবাদে বিয়ে করেছিলেন রশিদ ও মুসকান। বিয়ের আগে মুসকানের নাম ছিল পিঙ্কি। তাঁর মায়ের অভিযোগ, নিজেকে হিন্দু পরিচয় দিয়ে তাঁর মেয়েকে বিয়ে করেছেন রশিদ। এরপরই নতুন আইনের বলে গত ৬ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার করা হয় রশিদকে। কিন্তু এই অভিযোগকে মিথ্যে বলে দাবি করে মুসকানের অভিযোগ, তিনি ভাল ভাবেই জানতেন রশিদ মুসলিম। ৬ ডিসেম্বর আদালতে বিয়ের রেজিস্ট্রেশনের জন্য যাচ্ছিলেন তাঁরা। তখনই হিন্দু কট্টরপন্থীরা তাঁদের পথ আটকে থানায় নিয়ে যায়।
লাভ জেহাদ (Love Jihad) আইন চালু হওয়ার পর ভারতের প্রথম মহিলা হিসেবে আটক হয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মুসকান জাহান (Muskan Jahan)। গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তাঁর স্বামীকে। জোর করে গর্ভপাত করানোর অভিযোগও উঠেছিল। তবে মুসকানের জানিয়েছিল, তিনি জেনেশুনেই বিয়ে করেছিলেন। নিজেকে সাবালিকা বলেও দাবি করেছিলেন তিনি। তবে জোর করে ধর্মান্তকরণের কোনও প্রমাণ রশিদের বিরুদ্ধে মিলল না। ফলে গ্রেপ্তারির ২ সপ্তাহ পরে তাঁকে জেল থেকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হল পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.