ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একইদিনে পরপর দুটি গণপিটুনির ঘটনাক সাক্ষী রইল যোগী আদিত্যনাথশাসিত উত্তরপ্রদেশ। একদিকে নির্দিষ্ট সময়ের পরও খোলা থাকা দোকান বন্ধ করতে গিয়ে উন্মত্ত জনতার রোষের শিকার হলেন একদল পুলিশকর্মী। অন্যদিকে, খাবারের খোঁজে বের হওয়া দুস্থ ব্যক্তিকে চোর সন্দেহে পিটিয়ে মেরে ফেলা হল। বুধবার সকালে প্রথম ঘটনাটি ঘটে আলিগড় এলাকায়। পরে দুপুরে বাহরিচ এলাকায় দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে। লকডাউনের সময়ে একের পর এক গণপ্রহারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে পুলিশ, প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও।
করোনা রুখতে দেশজুড়ে লকডাউন চলছে। দোকান, বাজার খুলে রাখার নির্দিষ্ট সময় বেধে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, সকাল ১০টার পর উত্তরপ্রদেশের বাজার বন্ধ করে দেওয়ার কথা। অথচ আলিগড়ের ভোজপুরা এলাকায় বাজারে নির্দিষ্ট সময়ের পরও সবজি বিক্রি চলছিল। একদল পুলিশ কর্মী দোকান বন্ধ করতে যান। কিন্তু বিক্রেতারা পুলিশের কথা কানে তোলেননি। উলটে সেইসময় তাঁদের লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি করা হয়। এক পুলিশ কর্মী গুরুতর জখম হন। ঘটনা সম্পর্কে অতিরিক্ত জেলাশাসক আর কে মালপানি বলেন, ‘নিয়ম ভেঙে সবজি বিক্রেতারা সবজি বিক্রি করছিলেন। পুলিশ তাঁদের বোঝাতে গেলে পাথর ছুঁড়তে থাকেন ওরা। ছোড়া ইটের আঘাতে এক পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন।” পরে বিশাল পুলিশবাহিনী গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে।
এদিন দুপুরেই আরও একটি ঘটনা ঘটে বাহরিচ এলাকায়। এক দুস্থ ব্যক্তি খিদের জ্বাল সদ্য করতে না পেরে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন। নিজের আর পরিবারের জন্য খাবার জোগার করতে বেরিয়েছিলেন বলে খবর। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে চোর সন্দেহে বেধড়ক মারধর শুরু করে। এমনকী বৈদ্যুতিক শকও দেওয়া হয়।পুলিশ খবর পেয়ে তাঁকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদেরও মারধর করা হয়। ছোঁড়া হয় পাথর। পরে ওই দুস্থ ব্যক্তিকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.