ছবি: প্রতীকী।
প্রণব সরকার, আগরতলা: আগরতলায় কলেজছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনা সামনে আসার পর ২৪ ঘণ্টাও কাটল না। তার আগেই ত্রিপুরায় ফের গণধর্ষণের (Gangrape) শিকার দুই উপজাতি নাবালিকা। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে গোমতী জেলায়। এই ঘটনায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। অভিযুক্ত আটজন এখনও পলাতক।
বৃহস্পতিবারই জানা যায়, আগরতলায় (Agaratala) এক কলেজছাত্রীকে চলন্ত গাড়িতে গণধর্ষণের পর অচৈতন্য অবস্থায় একটি পরিত্যক্ত এলাকায় ফেলে দেওয়া হয়। তাঁকে উদ্ধার করে গোবিন্দবল্লভ পন্থ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভরতি করা হয়। সেখানে নির্যাতিতার চিকিৎসা চলছে। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন যে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। এই গণধর্ষণের ঘটনার বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে রাজ্যের বিভিন্ন সংগঠন, বিশেষ করে ছাত্র সংগঠনগুলি। রাজ্যে এমনকী রাজধানী আগরতলাতেও মহিলাদের কোনও নিরাপত্তা নেই বলে তীব্র অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, ত্রিপুরায় (Tripura) সাম্প্রতিককালে বেশ কয়েকটি ধর্ষণ ও গণধর্ষণের ঘটনা সামনে এসেছে। প্রায় প্রতি ক্ষেত্রেই অভিযোগ নিতে পুলিশের টালবাহানা ও নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে অমানবিক আচরণের অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতিতেই ফের জোড়া গণধর্ষণের ঘটনায় ত্রিপুরার মানিক সাহার নেতৃত্বের বিজেপি সরকার চরম অস্বস্তিতে পড়েছে। এদিকে, কলেজ ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় এক অভিযুক্তের বাড়ি থেকে ৯০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দুই নাবালিকা আত্মীয়দের সঙ্গে বৈশাখী মেলায় গিয়েছিল। সেখানে আত্মীয়দের লুকিয়ে তারা এক ফেসবুকে পরিচিত এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে যায়। অভিযোগ, মেলার ময়দান থেকে রাতে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে তাদের একে একে ধর্ষণ করে ওই বন্ধু এবং তার আট সঙ্গী। ভোরে কিশোরীদের শহরে পৌঁছে দিয়ে পালিয়ে যায় তারা। অ্যাসিস্ট্যান্ট ইনস্পেক্টর জেনারেল জ্যোতিষ্মান দাস চৌধুরী জানান, নির্যাতিতাদের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ফেসবুক বন্ধুকে তিনঘরিয়া থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম মোলারাই জামাতিয়া (১৯)। এই ঘটনায় দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছে ত্রিপুরার মহিলা কমিশন।
এদিকে, গত সোমবার আগরতলায় এক কলেজ ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হন। কলেজ থেকে ফেরার সময় এক পরিচিত তাঁকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার নাম করে গাড়িতে তোলে। তারপর চলন্ত গাড়িতে চারজন মিলে তাঁকে উপর্যুপরি ধর্ষণের পর আমতলি বাইপাসের ধারে একটি পরিত্যক্ত এলাকায় ফেলে রেখে যায়। এই ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গণধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্ত প্রসেনজিৎ পালকে এখনও ধরতে পারেনি পুলিশ। তবে তার বাড়িতে সন্ধান চালিয়ে ৯০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে প্রসেনজিতের কাকা লক্ষ্মণ পালকে। এই বিপুল পরিমাণ টাকা এল কোথা থেকে? তার উত্তর খুঁজছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.