সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক ভাই সস্ত্রীক দাঁড়িয়ে ছিলেন। এগিয়ে এলেন আর এক ভাই। তারপর পরিবারের সদস্যদের দেখা হলে যেমন হাসাহাসি, আড্ডা, গল্প হয়, সবই হল। আর সবটাই হল ক্যামেরার সামনে। অন্য কোনও পরিবার হলে এই ছবি হয়তো স্বাভাবিক ছবি হিসাবে গণ্য হত। কিন্তু এ ছবি মহারাষ্ট্রের ঠাকরে পরিবারের। দুদশক আগে যে পরিবার আড়াআড়ি ভাগ হয়ে গিয়েছিল। সেই পরিবার কি তবে ফের একত্রিত হচ্ছে? অস্তিত্ব বাঁচানোর স্বার্থে হাত মেলাচ্ছেন উদ্ধব এবং রাজ ঠাকরে? একটি বিবাহ অনুষ্ঠানে দুই ভাইয়ের খোশগল্পের ছবি প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে জল্পনা।
ঠাকরে পরিবারে ভাঙনের দুদশক হতে চলল। সেই ২০০৫ সালে শিব সেনা ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন রাজ ঠাকরে। ২০০৬ সালে নিজের দল গড়েন বালাসাহেব ঠাকরের ভাইপো। তারপর সেভাবে উদ্ধবের পরিবারের ছায়াও মাড়াতে দেখা যায়নি রাজকে। নিতান্তই পারিবারিক বা অন্য কোনও অনুষ্ঠানে দেখা হয়ে গেলে একে অপরকে উপেক্ষা করারই চেষ্টা করেন দুই তুতো ভাই। কিন্তু রবিবার এক বিয়েবাড়িতে অন্য ছবি দেখা গেল। রীতিমতো খোশগল্প করতে দেখা গেল রাজ ঠাকরে এবং উদ্ধব ঠাকরে ও তাঁর স্ত্রী রেশমি ঠাকরেকে।
আসলে মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে বেশ কিছুদিন ধরেই একটা কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে। বলা হচ্ছে, নিজেদের অস্তিত্ব বাঁচাতে নাকি বৃহন্মুম্বই পুরনিগমের নির্বাচনে একসঙ্গে লড়তে চলেছে শিব সেনার উদ্ধব গোষ্ঠী এবং রাজ ঠাকরের মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা। আসলে সদ্যই মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে দু’দলের। উদ্ধব কোনওরকমে মুম্বই এলাকায় নিজের অস্তিত্ব বাঁচিয়ে রেখেছেন। আর রাজ ঠাকরে নিজের ছেলেকেও জেতাতে পারেননি। দুই দলই অস্তিত্বের সংকটে। তাই অস্তিত্ব বাঁচাতে পুরনো পারিবারিক বিবাদে ঠাকরে পরিবার এক ছাতার তলায় চলে এলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
যদিও দুই দলের তরফে এখনও এই ধরনের কোনও ইঙ্গিত মেলেনি। আদৌ রাজ ঠাকরে উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন কিনা, বা মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা আদৌ শিব সেনার উদ্ধব শিবিরকে বড় শরিক হিসাবে মেনে নিতে পারবে কিনা, এমন বহু প্রশ্নের উত্তর এখনও মেলেনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.