ফাইল ছবি।
সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: বৈসরন নাশকতার জেরে অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে গেল উধমপুর-শ্রীনগর-বারামুলা রেল লিঙ্ক প্রোজেক্ট (ইউএসবিআরএল)? এই আশঙ্কার খবরই শোনা যাচ্ছে ভূস্বর্গ থেকে দিল্লির রেলভবন জুড়ে।
গত ১৫ মার্চ সংবাদ প্রতিদিন জানিয়েছিল, গোয়েন্দাবিভাগের ছাড়পত্র না মেলায় রেলের সবুজ সংকেত দেওয়া সত্ত্বেও ফাইলে সম্মতি দিচ্ছে না প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর। এরপর ঠিক হয়, ১৯ এপ্রিল শ্রীনগরে গিয়ে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু ‘খারাপ আবহাওয়া’র কারণে সেই অনুষ্ঠান স্থগিত হয়ে যায়। তার ঠিক পর, ২২ এপ্রিল ঘটে বৈসরন নাশকতা। তারপরই প্রশ্ন ওঠা শুরু করেছে এই
রেললাইনের নিরাপত্তা নিয়ে।
ছ’বছর আগে পথ স্যানিটাইজেশন না থাকায় শ্রীনগর থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার আগে পুলওয়ামায় নাশকতা চালায় জৈশ-ই-মহম্মদের সন্ত্রাসবাদী আদিল আহমেদ দার। যার জেরে শহিদ হতে হয় ৪০ সিআরপিএফ জওয়ানকে। সেই আশঙ্কা নতুন করে উঠতে শুরু করেছে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের রেল প্রকল্পকে ঘিরে। গোয়েন্দা বিভাগের মাথায় ঘুরছে সম্প্রতি বালুচিস্তানে ঘটে যাওয়া জাফর এক্সপ্রেস অপহরণের ঘটনাও। এই পরিস্থিতিতে এই লাইনের নিরাপত্তা কি স্রেফ জিআরপিএফের ভরসায় ছেড়ে দিয়ে নিশ্চিন্তে থাকা যাবে, নাকি কাজে লাগানো হবে কোনও আধা সামরিক বাহিনী বা সেনা অথবা এনএসজিকে, সেই প্রশ্নও ঘুরছে বিভিন্ন মহলে। তবে এই পথে রেল চলাচল যে আপাতত হচ্ছে না, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে রেলের এক পদক্ষেপে। দিন দশেক আগে জানানো হয়, ইউএসবিআরএল-এর দু’টি এসকেপ টানেলের ভিতর যোগাযোগ ব্যবস্থা সংক্রান্ত কিছু ত্রুটি রয়েছে।
যদিও আপাতত গোটা লাইনজুড়ে নিরাপত্তা বাড়িয়ে দিয়েছে জিআরপিএফ। টানেল, ব্রিজ থেকে শুরু করে সাধারণ অংশ-প্রকল্পের প্রতিটি ইঞ্চি মুড়ে ফেলা হয়েছে সিসি ক্যামেরায়। তবে এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে যতদিন পর্যন্ত না গোটা প্রকল্পের নিরাপত্তা দু’শো শতাংশ নিশ্চিত করা যাচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত এই প্রকল্প দিনের আলো দেখার সম্ভাবনা ক্ষীণ। শোনা যাচ্ছে আগস্ট-সেপ্টেম্বরের আগে কোনওভাবেই এই লাইনে চাকা গড়াবে না। যদিও সম্প্রতি কাশ্মীর থেকে সেনা ও আধাসামরিক বাহিনীর ৮০০ জওয়ানকে নিয়ে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিয়েছে প্রথম যাত্রীবাহী ট্রেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.