সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২৫ মার্চ থেকে দেশজুড়ে ২১ দিনের লকডাউন চলছে। জরুরি পণ্য ছাড়া কিছুই মিলছে না। অমিল মদও। সেই মদ না পেয়ে আত্মহত্যার পথ নিচ্ছেন অনেকে। কেউ কেউ কেউ তো আবার মদ না পেয়ে বিষাক্ত পানীয়ও খেয়ে ফেলছেন। আর যার পরিণাম হচ্ছে মৃত্যু। রবিবার রাতে এমনই মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকল তামিলনাড়ুর চেঙ্গলপট্টু এলাকা। একইসঙ্গে পরপর তিনজনের মৃত্যু হল। নেশার দ্রব্য না পেয়ে তাঁরা রং ও বার্নিশ খেয়ে ফেলেন বলে অভিযোগ। তারপরই বিষক্রিয়ার জেরে তাঁদের মৃত্যু হয়।
করোনা বিশ্বব্যাপী মহামারির আকার নিয়ছে। সংক্রমণ ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব (Social Distancing) বজায় রাখার আবেদন করা হচ্ছে। আর তাই দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করেন্ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরপর থেকে বাজারে স্রেফ অত্যাবশকীয় পণ্য মিলছে। ভিড় এড়াতে মদের দোকান বন্ধ রাখা হয়েছে। কোথাও কোথাও তো আবার মদের কালোবাজারি হচ্ছে। প্রায় দ্বিগুন-তিনগুন দামে বিকোচ্ছে মদ। ফলে যারা নিয়মিত নেশা করেন তাঁরা বেজায় বিপাকে পড়েছেন। কেউ কেউ নেশা করতে না পেরে অবসাদে ভুগছেন। কেউ কেউ আবার অন্যান্য বিষাক্ত দ্রব্য সেবন করছেন। যেমনটা ঘটল তামিলনাড়ুর চেঙ্গলপট্টু এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই এলাকার তিন বাসিন্দা শিবশংকর, প্রদীপ ও শিবরামণ নিয়মিত মদের নেশা করতেন। কিন্তু দোকান বন্ধ থাকায় বেশ কয়েকদিন ধরে মদের যোগান বন্ধ ছিল। শেষ পর্যন্ত রবিবার রাতে মদের বদলে রং ও বার্নিশ খেয়ে ফেলেন ওঁরা। এরপরই বমি করতে শুরু করেন। হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কিছুক্ষণের মধ্যে তিনজনেরই মৃত্যু হয়। জানা গিয়েছে, লকডাউনের পর রাজ্য সরকার পরিচালিত টাসম্যাক দোকানগুলিও বন্ধ করে দে্ওয়া হয়েছিল। প্রসঙ্গত, এর আগে নাগপুরে মদ না পেয়ে অবসাদে আত্মঘাতী হয়েছিলেন এক রিক্সা চালক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.