হেমন্ত মৈথিল, লখনউ: অপারেশন সিঁদুর-এ ছোড়া হয়েছিল ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র। দাবি করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এমনিতে পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পর ভারত-পাক সংঘর্ষে উভয়পক্ষ কোন কোন অস্ত্র ব্যবহার করেছে তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। তার মধ্যেই লখনউয়েও ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির নতুন কারখানার উদ্বোধনে গিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন যোগী। প্রশ্ন হল, সত্যিই কি ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছিল ভারতীয় সেনা?
রবিবার ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির নতুন কারখানার উদ্বোধন করেন যোগী। সেখানে নিজের বক্তব্যে দাবি করেন ব্রহ্মসের শক্তি কতখানি তা ‘অপারেশন সিঁদুর’-এই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। যারা এখনও তা টের পাননি, তারা এই ক্ষেপণাস্ত্রের ক্ষমতা সম্পর্কে পাকিস্তানকে জিজ্ঞাসা করতে পারে। সন্ত্রাসবাদ নিয়ে যোগী বলেন, সন্ত্রাসবাদ হল ‘কুকুরের লেজ’, যা কখনই সোজা হয় না। এইসঙ্গে যোগী মনে করিয়ে দেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেছেন, ভবিষ্যতে যে কোনও জঙ্গি কার্যকলাপকে যুদ্ধ হিসাবে বিবেচনা করা হবে।” তিনি মনে করিয়ে দেন, সন্ত্রাসবাদকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করাই একমাত্র সমাধান। উল্লেখ্য, যোগী ব্রহ্মস ব্যবহারের দাবি করলেও এই বিষয়ে সেনা কিছু জানায়নি।
২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে ২৬ নিরস্ত্রকে হত্যা করে লস্করের সঙ্গী সংগঠন টিআরএফের পাঁচ জঙ্গি। পালটা ৭ মে অপরেশন সিঁদুর চালায় ভারত। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নয়টি জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় বায়ুসেনা। এই অভিযানে অন্তত ১০০ জন জঙ্গির মৃত্যু হয়। এরপর রাজস্থান, পাঞ্জাবের মতো সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলিতে ড্রোন হামলা চালায় পাকিস্তান। পালটা লাহোর, করাচি-সহ পাকিস্তানের একাধিক শহরে আঘাত হানে ভারত। শেষ পর্যন্ত শনিবার ইসলামাবাদের মিনতিতে সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয় নয়াদিল্লি। আসলে গত কয়েকদিন ধরে ভারতের সঙ্গে সংঘাতে লাগাতার পিছিয়ে পড়ছিল পাকিস্তান। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, পরাজয় নিশ্চিত বুঝেই সন্ধিপ্রস্তাব করে শাহবাজ শরিফ সরকার। আমেরিকার মধ্যস্ততায় সেই প্রস্তাবে রাজি হয় ভারত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.