সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শ্রদ্ধা ওয়ালকার (Shraddha Walkar) হত্যাকাণ্ডে তোলপাড় গোটা দেশ। কিন্তু সেই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার আগে একই রকম নৃশংস ঘটনা ঘটেছিল উত্তরপ্রদেশে। ভাড়াটেকে খুন করে তার দেহ তিন টুকরো করে শহরের নানা জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে। গত দু’মাস ধরে পুলিশকে নাকানিচোবানি খাওয়ানোর পর অবশেষে ধরা পড়ল অভিযুক্ত। শ্রদ্ধা খুনের সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) গাজিয়াবাদের এই ঘটনার সাদৃশ্যে হতবাক সাধারণ মানুষ।
ঠিক কী ঘটেছিল উত্তরপ্রদেশের? জানা গিয়েছে, উমেশ শর্মা নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে ভাড়াটে হিসাবে থাকতেন অঙ্কিত খোকার। লখনউয়ের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করতেন তিনি। বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর ওই বাড়িতে একাই থাকতেন অঙ্কিত। কিছুদিন আগেই ১ কোটি টাকায় একটি জমি বিক্রি করেছিলেন তিনি। তারপর থেকেই বাড়িওয়ালা উমেশের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের অবনতি ঘটে। অঙ্কিতের টাকার প্রতি উমেশের লোভ বাড়তে থাকে।
প্রথমে অঙ্কিতের কাছে ৪০ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন অভিযুক্ত উমেশ। সেই টাকা শোধ করতে পারবেন না বুঝতে পেরেই অঙ্কিতকে খুনের ছক কষে উমেশ। পরিকল্পনামাফিক গত ৬ অক্টোবর শ্বাসরোধ করে অঙ্কিতকে খুন করা হয়। তারপর মৃতদেহ তিন টুকরো করে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে মুড়ে দেয় অভিযুক্ত। তারপর শহরের তিন প্রান্তে সেই দেহাংশ ফেলে আসে উমেশ।
বেশ কিছুদিন ধরে অঙ্কিতের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করতে পারেননি তাঁর বন্ধুরা। ফোনে না পেলেও মাঝে মাঝে মেসেজ পেতেন তাঁরা, কিন্তু সেই ভাষার সঙ্গে অঙ্কিতের কথার মিল ছিল না। সন্দেহ বাড়তে থাকায় পুলিশে খবর দেন তাঁরা। তদন্তে নেমে উমেশের বাড়িতে গিয়ে তাঁর পরিবারকে জেরা করা হয়। তাতেও অবশ্য নিজের দোষ স্বীকার করেনি অভিযুক্ত।
দু’মাস পরে অপরাধের কিনারা করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। উমেশ ও তাঁর এক বন্ধুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গাজিয়াবাদের ডেপুটি কমিশনার ইরাজ রাজা জানিয়েছেন, “অঙ্কিতকে খুন করার পরে তার এটিএম কার্ড ব্যবহার করে ২০ লক্ষ টাকা তুলে নেয় উমেশ। অন্য রাজ্য থেকে টাকা তোলার জন্য বন্ধুকেও এটিএম কার্ড দেয় সে। পুলিশকে বিভ্রান্ত করার জন্য তদন্ত চলাকালীন অঙ্কিতের ফোন থেকে মেসেজও করত সে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.