সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাঠের উপর পড়ে মুন্ডহীন দেহ। কাটা দুটো হাতও। প্রায় একবছর আগে এরকম নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল এক যুবতীকে। দেহ উদ্ধার হলেও মেলেনি পরিচয়। তবু হাল ছাড়েনি উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। এক বছর পর সেই হত্যা রহস্যের পর্দা উন্মোচন করল যোগী রাজ্যের পুলিশ। সামনে এল আরও এক লাভ জেহাদের কাহিনী।
২০১৯ সালে মে মাসে উত্তরপ্রদেশের লোহিয়া গ্রাম থেকে ওই যুবতীর মুন্ডহীন দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। সেই যুবতী লোহিয়া গ্রামের বাসিন্দা নয়, তা জানা গেলেও আর কোনও তথ্য মেলেনি। হাল ছাড়তে নারাজ ছিল পুলিশ। তাই লোহিয়া গ্রামে সেইসময় কোন কোন মোবাইল নম্বর চালু ছিল, তা খতিয়ে দেখতে শুরু করে তারা। ন্যাশনাল ক্রাইম ব্যুরোর তথ্যেরও সাহায্যও নেওয়া হয়। আর তাতেই প্রথম সাফল্য পায় পুলিশ। দেখা যায়, লুধিয়ানায় রেজিস্টার্ড একটি মোবাইল নম্বর লোহিয়া গ্রামে চালু ছিল। সেই নম্বর ধরে তদন্তে নেমে দেখা যায়, লুধিয়ানার মোতি নগর থেকে এক যুবতী একতা জয়সওয়াল নিখোঁজ। বাড়ি থেকে সমস্ত গয়না নিয়ে প্রেমিক ‘আমন’এর সঙ্গে ঘর ছেড়েছে সে। খোঁজ নিতে কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে আসে।
উত্তরপ্রদেশের মীরাটের এসএসপি অজয় সাহানি জানান, আমন আদপে লোহিয়া গ্রামের বাসিন্দা শাকিব। নাম ভাঁড়িয়ে হিন্দু পরিবারের মেয়ের একতার সঙ্গে প্রেম চালাচ্ছিলেন। কাজের সূত্রেই লুধিয়ানায় যাতায়াত ছিল তার। সেই সূত্র ধরেই প্রেম। এরপর শাকিব ওরফে আমনের হাত ধরে প্রচুন সোনা গয়না নিয়ে ঘর ছাড়ে সেই একতা। দৌরালা গ্রামে ঘর বেঁধেছিলেন তারা। কিন্তু কয়েকদিন যেতেই মেয়েটি বুঝতে পারে, আমন মিথ্যা বলেছিল। সে আদপে মুসলিম। এরপরই দুজনের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। পুলিশের দাবি, কোল্ড ড্রিংকসে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে মেয়েটিকে অজ্ঞান করে খুন মাথা কেটে খুন করে শাকিব। এতে তার পরিবারের সদস্যরাও জড়িয়ে ছিল। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার শাকিবকে আদালতে নয় যাওয়ার সময় পুলিশের বন্দুক ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে সে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। বরং শাকিবের পায়ে গুলি করে হেফাজতে নেয় মীরাট পুলিশ। জানা গিয়েছে, মৃত যুবতীর দুই হাতে দুটি ট্যাটু করা ছিল। একটিতে প্রেমিকের নাম লেখা ছিল। তাই খুনের পর শাকিব নিজেকে বাঁচাতে মেয়েটির হাতও কেটে দেয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.