সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এমন কেস থানায় শেষ কবে এসেছিল, বা আদৌ এসেছে কিনা মনে করতে পারছেন না পুলিশ আধিকারিকরা। মহা ফাঁপড়ে পড়েছেন তাঁরা। অভিযুক্তের দল আসলে মানুষই নয়। তাই তাদের গ্রেপ্তার করা হবে কিনা বা শাস্তি দেওয়া হবে কিনা, কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না তাঁরা। ব্যাপারটা কী?
এবার একটু খোলসে করে বলা যাক। ঘটনা উত্তরপ্রদেশের বাঘপত জেলার টিকরি গ্রামের। অভিযোগ, গত ১৭ অক্টোবর একদল বাঁদরের কাণ্ডকারখানায় মৃত্যু হয় ৭০ বছরের এক বৃদ্ধের। স্বাভাবিকভাবেই অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছে মৃতের পরিবার। বাঁদরদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করতে চেয়েছেন পরিবারের লোকজন। এমন পরিস্থিতিতে পুলিশও ঠাউর করে উঠতে পারছে না কী করণীয়।
সার্কল অফিসার রমালা রাজীব প্রতাপ সিং জানান, মৃত বৃদ্ধের নাম ধরমপাল। গত ১৭ অক্টোবর একটি ইটের গাদার উপর ঘুমোচ্ছিলেন তিনি। আচমকাই একদল বাঁদর সেই স্তূপাকৃত ইটের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে স্তূপটি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। ধরমপাল মাটিতে পড়ে যান। আর সারি সারি ইট তাঁর গায়ের উপর গিয়ে পড়ে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তবে মৃতের ভাইয়ের অভিযোগ, এভাবে তাঁর দাদার মৃত্যু হয়নি। তাঁর দাবি, যজ্ঞের জন্য কাঠের ব্যবস্থা করতে গিয়েছিলেন ধরমপাল। তখনই তাঁর উপর চড়াও হয় একদল হনুমান। তারাই বৃদ্ধের দিকে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। মাথায় ও বুকে গুরুতর আঘাত পান তিনি। আর তাতেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তাঁর মৃত্যু হয়। তবে মৃত্যু যেভাবেই হয়ে থাকুক না কেন, মৃতের পরিবার হনুমানের দলের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে চায়। মৃতের ভাই বলেন, “আমরা ইতিমধ্যেই একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছি। কিন্তু পুলিশের বক্তব্য এটি নিতান্তই একটি দুর্ঘটনা।” অভিযোগ জমা নিয়ে তদন্ত না করলে উচ্চ পর্যায়ের দ্বারস্থ হওয়ার কথাও জানিয়েছেন মৃত ধরমপালের ভাই।
[অমৃতসরের দুর্ঘটনায় কোনও আর্থিক সাহায্য নয়, দায় ঝাড়ল রেল]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.