সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হয়ে গেল বিয়ে। অথচ পাত্রীর পাশে নেই পাত্র। এও সম্ভব! তাই-ই হল উত্তরপ্রদেশের শামলি জেলায়। স্বয়ং মুসলিম ধর্মগুরুর বিধানেই এভাবে সম্পন্ন হল বিয়ে।
[ অন্তর্বাস খোলার নির্দেশ, পড়ুয়াদের মর্যাদা কাড়ার অভিযোগ কংগ্রেসের ]
সম্প্রতি তিন তালাক ইস্যুকতে উত্তাল গোটা দেশ। মুসলিম নারীদের অধিকার রক্ষায় যেমন সরব হয়েছে দেশের অন্যান্য ধর্মাবলম্বী মানুষরা, তেমনই মুসলিমরাও এ প্রথার অবসান চাইছেন। যদিও শরিয়তি আইনের দোহাই দিয়ে তিন তালাক প্রথার সমর্থনেই এখনও কথা বলছেন অনেকে। বিশেষজ্ঞদের মতামত, এ ধরনের ঘটনা যতটা না ঘটছে ধর্মীয় কারণে, তার থেকেও বেশি ভালবাসার অভাবে। বিয়ের বন্ধন তথা সম্পর্কের বাঁধন যেখানে দৃঢ় নয়, সেখানে ধর্মীয় রীতির প্রভাব খাটানো হচ্ছে। ফলে বিয়ের পর সন্তানসন্ততি নিয়ে অকূল পাথারে পড়েছেন ও পড়ে চলেছেন বহু মুসলিম নারী। তিন তালাক রোখার সমর্থনে তাই সবথেকে বেশি সরব হয়েছেন মুসলিম নারীরাই।
[ দলে দলে হিন্দুরা ভিড় জমান এই দরগায়, কেন জানেন? ]
ঠিক এই পরিস্থিতিতেই খোদ যোগীর রাজ্যে এমন একটি বিবাহ সম্পন্ন হল যেখানে পাত্রই হাজির নেই। জানা যাচ্ছে, পাত্রের নিবাস সৌদি আরবে। বিয়ের জন্য তাঁর দেশে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত দিনেও তিনি এসে পৌঁছতে পারেননি। তাই ভিডিও কনফারেন্সেই হল বিয়ে। আর সে বিয়ের অনুমতি দিলেন স্বয়ং মুসলিম ধর্মগুরুরাই।
[ পাক সেনার মুণ্ডচ্ছেদে ইনাম ৫ কোটি টাকা, ঘোষণা মুসলিম সংগঠনের ]
বিয়েতে দু-পক্ষের পরিবারের লোকেরা অবশ্য উপস্থিত ছিলেন। পাত্রীর বাবা এ ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়ে জানিয়েছেন, বিশেষ কারণে পাত্র এসে পৌঁছতে পারেনি। তাই তাঁরা প্রযুক্তির সাহায্য নিয়েছেন। প্রযুক্তির কল্যাণে দূরত্ব তো অতিক্রম করা গেল। কিন্তু স্বাভাবিক পরিণয়ে সম্পর্কের যে নৈকট্য তৈরি হয়, তা কি প্রযুক্তি দিতে পারে? এক্ষেত্রেও দুই সদ্য বিবাহিতের মধ্যে কোনওরকম মানসিক দূরত্ব তৈরি হবে না তো! সে প্রশ্নের অবশ্য উত্তর না আছে পরিবারের সদস্যদের কাছে, না ধর্মগুরুদের কাছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.