ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নাবালিকাকে ধর্ষণ করে দিব্য ঘুরে বেড়াচ্ছিল অভিযুক্ত। নির্যাতিতার বাবা পুলিশে অভিযোগ জানাতেই বিপত্তি। মামলা তোলার হুমকি দিতে থাকে অভিযু্ক্ত। তবুও তার চাপের কাছে নতিস্বীকার করেনি ওই পরিবার। সেই ‘অপরাধে’ সোমবার নির্যাতিতার বাবাকে গুলি করে খুন করল অভিযুক্ত। ঘটনাস্থল ফের সেই উত্তরপ্রদেশ। আরও একবার কাঠগড়ায় যোগীর রাজ্যের পুলিশ।
বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশে বারবার একই ধরণের ঘটনা ঘটেছে। কখনও অভিযোগ পেয়েও অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে না পুলিশ, আবার কখনও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে লঘু ধারা দেওয়ায় সহজেই জামিন পেয়ে যায় তারা। ফলে জেল থেকে বেরিয়ে নির্যাতিতাদের উপর ফের চড়াও হয়। কখনও আবার তাঁর পরিবারের ক্ষতি করে। যেমন উন্নাওয়ে ধর্ষক তথা বিজেপি বিধায়ক কুলদীপের বিরুদ্ধে নির্যাতিতা ও তার পরিবারের লোকজনকে গাড়ি চাপা দিয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ ওঠে। আবার উন্নাওয়তেই আদালতে সাক্ষী দিতে যাওয়ার পথে এক নির্যাতিতাকে গায়ে পেট্রল ঢেলে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। এবার লালসার শিকার এক একাদশ শ্রেণির ছাত্রী।
পুলিশ সূত্রে খবর, গতবছর আগস্ট মাসে ফিরোজাবাদে এক বছর পনেরোর নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়। অভিযুক্ত আচমান উপাধ্যায়ের নামে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়। আচমানকে গ্রেপ্তার না করলেও আদালতের নির্দেশে তার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল পুলিশ। তারপর থেকে সে নির্যাতিতার পরিবারকে হুমকি দিতে থাকে। পরিবার সূত্রে খবর, গত সপ্তাহে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য শাসিয়েছিল। বলেছিল, “আর সাতদিনের মধ্যে মামলা তুলে নাও। না হলে তোমাদের পরিবারের কেউ না কেউ মরবে।” অভিযোগ, পুলিশকে একথা জানানো সত্ত্বেও তারা গুরুত্ব দেয়নি। সোমবার ওই ছাত্রীর বাবা যখন বাড়ি ফিরছেন, তাকে গুলি করে খুন করা হয়।
এদিকে কর্তব্যে গাফিলতির জেরে তিন পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। পুলিশের পদস্থ কর্তা সতীশ গণেশ জানিয়েছেন, অভিযুক্তকে ধরার জন্য পুলিশের পাঁচটি টিম তৈরি হয়েছে। তার সম্পর্কে কেউ খবর দিতে পারলে পুরস্কার দেওয়া হবে ৫০ হাজার টাকা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.